নবজাগরণের ২৫ বছর, শিশির মঞ্চে সাহিত্য-কৃষ্টি আর সংস্কৃতির মেলবন্ধন! শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

‘নবজাগরণ’ শব্দটার সঙ্গে বাঙালি ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে। ইতিহাসের পাতা থেকে বাঙালি মননে উঠে আসা এই নবজাগরণ ঘিরে সাহিত্য সংস্কৃতির দরবারে বারবার বিশিষ্টদের আনাগোনা। আজ থেকে ২৫ বছর আগে অশোক দাশগুপ্ত ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়দের মতো গুণী মানুষের হাত ধরে যে ভাবনার সাংস্কৃতিক সূচনা, আজ তার রজত জয়ন্তী বর্ষে পদার্পণ। সেই উপলক্ষ্যে তিলোত্তমার বুকে সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণকেন্দ্র নন্দন রবীন্দ্র সদন চত্বরে শিশির মঞ্চ অডিটোরিয়ামে এক বিশেষ সম্বর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ।বিশেষ কারণে উপস্থিত থাকতে না পারলেও অশোক দাশগুপ্ত নিজেও নবজাগরণের সাফল্য কামনা করে তাঁর বার্তা পাঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেকনো ইন্ডিয়ার কর্ণধার সস্ত্রীক সত্যম রায়চৌধুরী। (Satyam Roychowdhury) বিখ্যাত সাহিত্যিক মণিশংকর মুখোপাধ্যায়কে (Manishankar Mukhopadhyay) এদিন সম্বর্ধনা জানান সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত ও সত্যম রায়চৌধুরী। টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের (Techno India Group) কর্ণধার বলেন, যে শংকর আমাদের প্রত্যেককে অনুপ্রাণিত করেন। বাংলা সিনেমার ‘ধন্যি মেয়ে’ সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে (Sabitri Chatterjee) সম্মান জানান অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী (Gargi Roychowdhury) এবং বিশিষ্ট উদ্যোগপতি সমর নাগ (Samar Nag)। গার্গী বলেন, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এমন এক অভিনেত্রী যাকে কোনদিনই অনুকরণ করা যায় না শুধুই অনুসরণ করতে হয়। সমর নাগ বলেন, তাঁর কাছে ‘ধন্যি মেয়ে’ সিনেমা চিরকালের সেরা। এদিন নবজাগরণের আরেক কর্ণধার সত্যব্রত দে উত্তরীয় পরিয়ে পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেন বাচিকশিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Bratati Bandopadhyay)। সংগীত শিল্পী ইন্দ্রনীল সেনকে (Indranil Sen) সম্বর্ধনা দেন মৌ রায়চৌধুরী (Mou Roychowdhury)।

এদিনের অনুষ্ঠানকে দুটি পর্বে ভাগ করা হয়েছিল। বৃষ্টি মাখা শ্রাবণ সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্বে রবি ঠাকুর, নজরুল, জীবনানন্দকে সঙ্গী করে দর্শককে কবিতার সমৃদ্ধশালী এক জগতে নিয়ে যান শিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিটি উপস্থাপনার শেষে অডিটোরিয়াম জুড়ে শুধুই করতালির প্রতিধ্বনি। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিশিষ্ট শিল্পী ইন্দ্রনীল সেন। আগেই তাঁকে সম্বর্ধনা দেওয়ার সময় মৌ রায়চৌধুরী ব্যক্তি ইন্দ্রনীলের প্রশংসা করেন। আর হাতে মাইক্রোফোন পাওয়া মাত্রই শিল্পী ইন্দ্রনীলের গানের সুরে পরিপূর্ণ হয় এই সান্ধ্য অনুষ্ঠান।

আরও পড়ুন- আরও দৃঢ় হচ্ছে দুই বাংলার সম্পর্ক, চালু হচ্ছে কলকাতা-ঢাকা বাস পরিষেবা