Friday, December 19, 2025

নিজেদের ঋণ লুকিয়ে অন্যের দিকে আঙুল তোলে ওরা: নবান্নে হিসেব দিয়ে জবাব মুখ্যমন্ত্রীর

Date:

Share post:

রাজ্যের ঋণ নিয়ে কেন্দ্রের লাগাতার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বুধবার নবান্ন(Nabanna) থেকে সরব হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। রাজ্যের ঋণের বর্তমান তথ্য বিস্তারিত তুলে ধরার পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দৌলতে দেশের ঋণের বিপুল বোঝার হিসেব দিলেন মমতা। এদিন নবান্নে মুখ্যসচিবকে(chief secretary) পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই যে বলা ৭ লক্ষ কোটি ঋণ হয়ে গিয়েছে, এই তথ্য ঠিক নয়। আমাদের বাম আমলের ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী, “কোনও রাজ্যে পুরনো ঋণ নিয়ে থাকলে, সেই ঋণের সুদ বাড়তে থাকে। যার ফলে পুরনো রাজ্যগুলির ঋণের পরিমাণ এমনিই বেশি হয়। অন্ধ্রপ্রদেশ বা তেলেঙ্গানার মতো নতুন করে তৈরি হওয়া রাজ্যের এই ঋণের পরিমাণ অনেক কম হয়। কারণ এই রাজ্যগুলিকে পুরনো ঋণ বইতে হয় না।”

রাজ্যের ঋণের পরিমাণ বিষয় বিস্তারিত তুলে ধরে মুখ্যসচিব জানান, কোনও রাজ্য কতটা দেনায় ডুবেছে সেটা ঋণের পরিমাণ দেখে নির্ধারণ করা যায় না। সেটা নির্ধারণ করতে হয় রাজ্যের মোট জিডিপি এবং ঋণের অনুপাতের উপর। মুখ্যসচিব জানান, ২০১১ সালে রাজ্যের ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু সেসময় রাজ্যের ঋণের সঙ্গে জিডিপির অনুপাত ছিল ৪০ শতাংশ। সেখানে বর্তমানে রাজ্যের ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৫.৮৬ লক্ষ কোটি টাকা হলেও সে তুলনায় জিডিপির পরিমাণ অনেকটা বেড়েছে। যার ফলে ঋণ এবং জিডিপির অনুপাত কমে হয়েছে ৩৩ শতাংশ। করোনার মতো মহামারির পরও এই অনুপাত কমানো অভাবনীয়। মুখ্যসচিবের দাবি, বাংলার সরকারের ভাল ঋণ ব্যবস্থাপনার সুবাদেই ঋণের অনুপাত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। খেলা-মেলার পিছনে খরচ করতে গিয়ে পরিকাঠামো খাতে উন্নয়ন করতে পারছে না সরকার। বিরোধীদের এই অভিযোগও এদিন খণ্ডন করেছেন মুখ্যসচিব। তিনি জানিয়েছেন, ২০১১ সালে যেখানে বাংলায় পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দ ছিল মাত্র ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সেখানে বর্তমানে পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ১৫ গুণ বেড়েছে।

দেনার পরিমাণ নিয়ে এদিন কেন্দ্রকেও পালটা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, যে রাজ্যের যত বেশি জিডিপি, সে রাজ্যের ঋণের পরিমাণ বেশি হয়। হাই জিডিপির রাজ্যে ঋণও বেশি হয়। মমতার প্রশ্ন, “কেন্দ্রও তো প্রচুর ঋণ নিয়েছে। ২০১৪-‘১৫ অর্থবর্ষে দেশের ঋণের পরিমাণ ছিল ৬২.৪২ লক্ষ কোটি টাকা, যা এখন বেড়ে হয়েছে ১৫২.৬ লক্ষ কোটি টাকা। ওরা কিন্তু কখনও হিসেব দেয় না। শুধু রাজ্যের ঋণের পরিমাণ কেন বলা হবে?”

spot_img

Related articles

হেড কোচ হিসেবে মানতে চান না! টিম ইন্ডিয়াতে গম্ভীরের ভূমিকা স্পষ্ট করলেন কপিল

সাদা বলে সাফল্য পেলেও  টেস্টে ক্রিকেটে গৌতম গম্ভীরের(Gautam Gambhir)  কোচিংয়ে ভারতের ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী। ঘরের মাঠে দুই দলের...

আওয়ামী লিগের বাড়ি ভাঙতে বুলডোজার, হাদির মৃত্যুতে শনিবার শোকদিবস পালনের ডাক ইউনূসের 

ভোটের আগে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh)। নৈরাজ্যের আগুনে উত্তেজনা বাড়ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে। ঢাকা-চট্টগ্রামে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা, ধানমান্ডিতে প্রগতিশীল ধর্মনিরপেক্ষ...

আমেরিকার আকাশে বিমান দুর্ঘটনা,উত্তর ক্যারোলিনায় প্রাইভেট জেট ভেঙে মৃত অন্তত ৭

মার্কিন আকাশ পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা (US plane crash)। উত্তর ক্যারোলিনায় (North Carolina) ভেঙে পড়ল একটি প্রাইভেট জেট। উড়ানের...

গায়ের জোরে ‘জি রাম জি’ পাশ, MGNREGA-র হত্যা! সংসদ ভবনের সিঁড়িতে রাতভর ধর্নায় তৃণমূল সাংসদরা

ব্যাপক ঠান্ডা দিল্লিতে (Delhi)। এর মধ্যেই ‘জি রাম জি’ বিলের বিরোধিতায় পুরোনো সংসদ ভবনের সিঁড়িতে রাতভর ধর্নায় তৃণমূল...