যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সূচনা হয়ে গেল এশিয়ার প্রাচীনতম ফুটবল টুর্নামেন্টের। ১৩২ তম ডুরান্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং সেনা বাহিনির উচ্চপদস্থ কর্তারা।শুরুতেই ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে দেশাত্মবোধক অনুষ্ঠান তুলে ধরা হয়। এরপর ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়।

কথনও মহারাষ্ট্র, আবার বিহার, পাঞ্জাবের সংস্কৃতি প্রদর্শনী করা হয় ডুরান্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। পাশাপাশি পাঞ্জাব, গোর্খা, বিহার রেজিমেন্টের পক্ষ থেকে পারফরম্যান্স তুলে ধরা হয়। ৩০ মিনিটের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। মাঠে প্রবেশ করে সরাসরি ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচয় পর্ব সারেন মমতা। কিক অফ করে টুর্নামেন্টের সূচনা করেন। ডুরান্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও মমতার মুখে উঠে এল ইন্ডিয়ার কথা।মমতা বলেন, ‘আমি অত্যন্ত খুশি ডুরান্ড কাপ কলকাতায় হওয়ায়। সেনা বাহিনির উদ্যোগে এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় ডুরান্ড কাপ হচ্ছে। আমি ইন্ডিয়ার সব দল এবং বাংলাদেশের সব দলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এশিয়ার প্রাচীনতম ফুটবল টুর্নামেন্ট, আমার শুভেচ্ছা রইল। সফল ভাবে হোক।’ ডার্বি ম্যাচে আসবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে, মমতা বলেন, ‘বড় ম্যাচে আসব কিনা এখনও ঠিক করিনি। আমি না এলেও বাকি সবাই থাকবে।’ এবারের ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচ বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা করেন আয়োজকরা। বেশ কয়েক হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং বাংলাদেশের সেনা দল। দুই দলের ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচিত হন মুখ্যমন্ত্রী।

চলতি ডুরান্ড কাপে ২৪টি দল অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে আইএসএলের ১২টি দল খেলছে। এ ছাড়া আইলিগের পাঁচটি দল খেলছে। ভারতীয় সেনার রয়েছে তিনটি দল। বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের একটি করে দল এবং অসমের স্থানীয় একটি দল খেলছে প্রতিযোগিতায়। কলকাতা ছাড়াও এবার ডুরান্ড কাপ হচ্ছে গুয়াহাটি এবং কোকরাঝাড়ে।
