অ.শান্তি থামছে না! মণিপুরে খু.ন পুলিশ আধিকারিক, একাধিক থানায় হা.মলা উন্মত্ত জনতার

তবে শুক্রবার রাতের হামলার পিছনে অস্ত্র ছিনতাই আসল উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে মণিপুর পুলিশ ও অসম রাইফেলসের অস্ত্রাগার লুঠ হয়েছে।

দীর্ঘ ৩ মাস কেটে গেলেও নতুন করে ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর (Manipur)। বৃহস্পতিবার থেকে মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে গিয়েছে হামলার ঘটনা। ইম্ফল (Imphal) পশ্চিম জেলায় জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। পাশাপাশি বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) নারানসেইনায় ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের সদর দফতরে হামলা চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও কার্তুজ লুঠ করে চম্পট দিয়েছে উন্মত্ত জনতা। লুঠ করা আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে একে-৪৭ এর পাশাপাশি একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে খবর। সেই সঙ্গে ১৯ হাজার রাউন্ড কার্তুজও লুঠ করেছে হামলাকারীরা। ওই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ হওয়ায় রাজ্যের পরিস্থিতির আরও ভয়াবহ অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।

মণিপুর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইম্ফল পশ্চিম জেলার সেঞ্জাম চিরাংয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে আচমকাই গুলি চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। এদিন দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান এক পুলিশ আধিকারিক। গুরুতর জখম হন আরও এক ভিলেজ পুলিশ কর্মী। সেঞ্জাম চিরাংয়ের পাশাপাশি কোউটুক, হারাওথেলেও পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াই চলে। দু’পক্ষের মধ্যে গুলি যুদ্ধে বেশ কয়েকজন আহত হন বলে খবর।

তবে শুক্রবার রাতের হামলার পিছনে অস্ত্র ছিনতাই আসল উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে মণিপুর পুলিশ ও অসম রাইফেলসের অস্ত্রাগার লুঠ হয়েছে। তিন হাজারেরও বেশি আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করা হয়।

 

 

Previous articleএবার বিজেপি সাংসদ লকেটের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ নিয়ে ইডি দফতরে তৃণমূল কাউন্সিলর
Next articleএবার সমুদ্র জয়ের পথে ভারত ! মহাসাগরের ৬০০০ মিটার গভীরে সমুদ্রযান