Tuesday, December 16, 2025

বাংলার স্কুলে বাংলা ভাষা Must, বেসরকারি স্কুলের ফি নিয়ন্ত্রণ: শিক্ষা কমিশন গড়ার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে

Date:

বাংলার স্কুলে পড়াই হবে বাংলা। সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সোমবার, একই সঙ্গে বেসরকারি স্কুলের ফি নিয়ন্ত্রণ করবে সেই শিক্ষা কমিশন। সোমবার নবান্নে (Nabanna) মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষা কমিশন তৈরিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমিশনের ধাঁচে এই কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষানীতিও পাশ হয়েছে এদিনের বৈঠকে।

কারা থাকছেন শিক্ষা কমিশন?
নেতৃত্বে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি
কমিশনেপর্ষদ ও সংসদ সভাপতি
শিক্ষামন্ত্রী মনোনীত ২ প্রতিনিধি

পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানার মতোই বাংলাতেও রাজ্যের ভাষা বাধ্যতামূলক করা পথে সরকার। ইংরেজি মাধ্যম-সহ যে বোর্ডে স্কুলে বাংলা পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। প্রথম বা দ্বিতীয়ভাষার করতে হবে বাংলাই।

ফি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে পঠনপাঠন, স্কুলের নানা পরিষেবা নিয়ে বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে নানা সময় বিস্তর অভিযোগ ওঠে। সরকারি নজরদারির দাবি তোলেন অভিভাবকরাই। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) আগেই বলেছিলেন, শিক্ষা কমিশন নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। ধাপে ধাপে তা এগোবে। এদিন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই পরিকল্পনাতেই চূড়ান্ত সিলমোহর পড়ল।

আরও পড়ুন- বেলেঘাটা শুঁড়া সার্বজনীনে ৮২ বছরের চমক ‘দ্য এড্রেস’

রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিতে ফি নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি হল ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইভেট স্কুল রেগুলেটরি কমিশন। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই কমিশন অনুমোদিত হল। এবার এটি বিল আকারে বিধানসভায় পেশ হবে। বিধানসভায় পাস হয়ে গেলে এটি রাজ্যপাল এর কাছে অনুমোদনের জন্য যাবে তিনি স্বাক্ষর করলে এই কমিশন আইন হিসেবে চিহ্নিত হবে। ঠিক হয়েছে কমিশনের মাথায় থাকবে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি , রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর , বোর্ডের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদরা থাকবেন। এছাড়া এই কমিশনে আইসিএস ই এবং সিবিএসই বোর্ডের প্রতিনিধিরা থাকবেন। মূলত এই দুটি বোর্ডের অধীনস্থ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এই কমিশন। স্বাস্থ্য কমিশনের ধাঁচে এই কমিশন কাজ করবে।

একনজরে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত

● রাজ্যে চালু হওয়া চার বছরের ডিগ্রি কোর্স এই নতুন শিক্ষানীতির অংশ
● একই সঙ্গে এই রাজ্য শিক্ষানীতিতে সমস্ত মাধ্যমের স্কুলে ইংরেজি ও বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করা হল । সরকারি এবং প্রাইভেট উভয় স্কুলেই ছাত্র-ছাত্রীদের এই ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ।
● এক্ষেত্রে তৃতীয় ভাষা হিসেবে কোনও স্কুল চাইলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের স্থানীয় ভাষাকে গুরুত্ব দিতে পারে ।
● যেখানে যে জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যার মানুষের বাস বেশি রয়েছে, সেখানে আঞ্চলিক ভাষাকে গুরুত্ব দিয়ে সেই ভাষাও পড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
● শিক্ষানীতির অংশ হিসেবে শিক্ষা কমিশন তৈরির কথা বলা হয়েছে । এর মাধ্যমে বেসরকারি স্কুলগুলির ইচ্ছা খুশিমতো ফি নেওয়ার পথে একটা নিয়ন্ত্রণ আনতে চাইছে রাজ্য সরকার ।

 

Related articles

মোটা অঙ্কের বাজেট নিয়ে মিনি নিলামে নামছে কেকেআর, দল পেতে পারেন ঈশ্বরণ

মঙ্গলবার আবুধাবিতে ২০২৬ সালের আইপিএলের মিনি নিলাম(IPL Mini Auction)। ৭৭টি জায়গার জন্য নিলামে উঠবেন ৩৫০ ক্রিকেটার। এই ৩৫০...

বাংলা না কি জ্বলছে! গদি মিডিয়ার অপপ্রচারকে ধুয়ে দিলেন সাধু থেকে আমজনতা

বাংলা না কি জ্বলছে! এখানে খুন-জখমের রাজনীতি চলছে! আক্রান্ত হিন্দু! গদি মিডিয়া এই খবর করতে এসেছিল কলকাতায় আর...

রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা! কেন্দ্রের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে লোকসভায় সোচ্চার তৃণমূল

পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে বাগে আনতে না পেরে এবার দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো লঙ্ঘন করে...

মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা! রাজ্যসভায় বিজেপির পর্দাফাঁস সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের

পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মতুয়াকে ভুল বুঝিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করছে মোদি সরকার ও বিজেপি—এমনই অভিযোগ তুলে সোমবার...
Exit mobile version