Tuesday, August 26, 2025

যাদবপুরের ‘মেন হস্টেল’ যেন মূর্তিমান বিভী.ষিকা! সহপাঠীর মৃ.ত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পড়ুয়ার অনুভূতি

Date:

স্বপ্নদীপের (Swapnadip Kundu) মৃত্যু রহস্যের কিনারা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। অটোপসি রিপোর্ট (Autopsy report) বলছে উঁচু জায়গা থেকে পড়ে গিয়ে যতটা আঘাত পাওয়ার কথা ময়না তদন্তে সেই তথ্যই উঠে এসেছে। পড়ুয়ার দেহে অন্য কোনও ধরনের আঘাত বা অত্যাচারের চিহ্ন নেই। যদিও হস্টেলের বারান্দা থেকে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রর পড়ে যাওয়ার ঘটনাকে ‘স্বাভাবিক’ বলে মনে করছেন না তাঁর অধ্যাপকেরাও। ঠিক কী হয়েছিল সেটা অজানা। তবে এরই মধ্যে ওই মৃত ছাত্রের সহপাঠী তাঁর ‘বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা’র কথা সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করেছেন। যা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরালও হয়েছে। মেন হস্টেলের ওই ছাত্রের নাম অর্পণ মাঝি (Arpan Majhi)।

নিহত ছাত্রের বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন , গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে মাকে ফোন করে স্বপ্নদীপ বলেছিলেন তিনি ভালো নেই এবং ভয় করছে তাঁর। মাকে দ্রুত হোস্টেলে চলে আসার অনুরোধ করেছিলেন। ব্যাস ওইটুকুই, এরপর আর কোনও কথা হয়নি। কী এমন ঘটেছিল এই মাঝের কয়েকটা ঘণ্টায়? মৃত পড়ুয়া কি সত্যি র‍্যাগিং এর শিকার? অর্পণ মাঝি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) জিওলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। ফেসবুকে নিজের পরিচয় দিয়ে অর্পণ লেখেন, “প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরুর পরের দু তিন রাতেই হোস্টেল আমার মনে বিভীষিকার জন্ম দিয়েছে। এখন আমি কষ্ট করে ধার করে হলেও মেস খুঁজছি।” আর্থিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে অর্পণকে। তাহলে তিনিও কি চূড়ান্ত পরিণতির ভয় পাচ্ছেন? কী এমন কাণ্ড ঘটে যাদবপুরের মতো একটা নামী প্রতিষ্ঠানে?অর্পণের কথায়, ‘‘সমাজের প্রতিটি স্তরে ক্ষমতা প্রদর্শন আছে, কিন্তু যাদবপুর মেন হস্টেলের কিছু দাদাও যে এই একই কাজ করবে তা আমার কল্পনার অতীত। মাথায় একটি স্পেসিফিক ছাঁটের চুল কাটতে বলা, সন্ধে ৬টার মধ্যে হস্টেলে ঢোকার ফরমান, ক্রমাগত সিনিয়রদের ফাইফরমাশ খাটা, সারা রাত জাগিয়ে রেখে ‘ইন্ট্রো’ নেওয়া। ওই তিন রাত ধরে এগুলো আমার সঙ্গে চলছে এবং আমিও ভয় পেয়েই রয়েছি।’’ অর্পণের কথায় ‘র‌্যাগিং’-এর তত্ত্বই আরও বেশি জোরালো হচ্ছে।

পড়ুয়া লিখেছেন যাদবপুরের মেন হোস্টেল নিয়ে অনেক গল্প শোনা যায়। বন্যার্তদের সাহায্য করার পাশাপাশি কোয়ারিনাইনের সময় অসহায় মানুষের পাশে থাকার কথা। বিশ্ব বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের এই লড়াকু ঐতিহ্য গুটি কয়েক দাদার জন্য নষ্ট হচ্ছে বলে অর্পণের অভিযোগ।ফেসবুকে স্পষ্ট র‌্যাগিংয়ের কথা বলেই অর্পণ জানান যে আজ পর্যন্ত র‍্যাগিং হওয়ার পর ইউনিয়নের দাদারা আপোষ করে নেওয়া ছাড়া আর কোনও কথাই বলেননি। এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্ববিদ্যালয় এই নিয়ে কখনও প্রতিবাদ পর্যন্ত হয় না।

 

 

 

 

Related articles

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির তালিকা দেওয়ার নির্দেশ জেলাশাসকদের

বন্যায়(Flood) যে সমস্ত বাড়ি ভেসে যাচ্ছে তার তালিকা তৈরি করে মুখ্যসচিবের(Chief Secratory) কাছে দেওয়ার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দিলেন...

১৯ হাজার কোটি ব্যয়ে ৯১ কোটি শ্রম দিবস

কেন্দ্র বঞ্চনা করে। বাংলা করে উন্নয়ন। একশো দিনের কাজে বাংলার বকেয়া দেয়নি কেন্দ্র। তারপরই কেন্দ্রের তোয়াক্কা না করে...

বিহার-ভোটেও ‘খেলা হবে’: বাংলার স্লোগান এখন ভারতজুড়ে

শেষ বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের মূল স্লোগান ছিল 'খেলা হবে' (Khela hobe)। প্রতিটি নির্বাচনী জনসভায় তৃণমূল নেতাদের এই স্লোগান...

ধান উৎপাদনে দেশের সেরা বাংলা: বর্ধমানে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

ধান উৎপাদনে বাংলা(Bangla) এবার সারা ভারতবর্ষে প্রথম। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক সভা থেকে এই কথা জানিয়ে বর্ধমান জেলাকে...
Exit mobile version