স্বপ্নদীপের রহস্যমৃ.ত্যু: যাদবপুরের প্রাক্তনীকে আটক করল পুলিশ, অশা.ন্তির চেষ্টা ABVP-র

তবে এদিন জোর করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির চেষ্টা এবিভিপি সমর্থকদের। তদন্তকে জোর করে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতেই বিজেপির ছাত্র সংগঠনের এমন কাজ বলেই মনে করছে পুলিশ।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর পর থেকে দফায় দফায় উত্তাল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশপাশি নিজস্ব তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। বৃহস্পতিবার থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের একাধিক আবাসিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। তাঁদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবারই ঘটনায় পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত পড়ুয়ার  (Jadavpur Police) বাবা। তারপরই তৎপর হয় পুলিশ। সূত্রের খবর, এদিন সন্ধেয় সৌরভ চৌধুরী (Saurav Chaudhury) নামে এক পড়ুয়াকে আটক করা হয়েছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এদিকে স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও ৮বি চত্বরে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ প্রদর্শন। তবে এদিন জোর করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির চেষ্টা এবিভিপি সমর্থকদের। তদন্তকে জোর করে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতেই বিজেপির ছাত্র সংগঠনের এমন কাজ বলেই মনে করছে পুলিশ। এদিন ৮বি চত্বরে অশান্তির চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। তারপরই পুলিশের উপর চড়াও হয় এবিভিপি সমর্থকরা (ABVP)। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।

সূত্রের খবর, স্বপ্নদীপ কুন্ডুর পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে যে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল সেখানেও ছিল এই প্রাক্তনীর নাম। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন সৌরভ। কিন্তু, এখনও থাকতেন মেন হস্টেলেই। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায়। ২০২২ সালে এমএসসি পাশ করেন স্বপ্নদীপ। হস্টেলে থেকেই চাকরির চেষ্টা করছিলেন সৌরভ। মেস কমিটির গুরুত্বপূর্ণ মেম্বারও ছিলেন। এই প্রথম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় কাউকে আটক করল পুলিশ। বুধবার রাতে স্বপ্নদীপ কুণ্ডু নামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে মেন হোস্টেলের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় যাদবপুরের হস্টেল আটকে পড়ে থাকা প্রাক্তনীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল স্বপ্নদীপের পরিবার।

স্বপ্নদীপের বাবা জানান, তাঁর ছেলে প্রথমে হস্টেলে থাকার সুযোগই পায়নি। এই সৌরভ ছিলেন মেস কমিটির অন্যতম। সেই হস্টেলে ছেলেকে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। শুক্রবার সেই সৌরভকেই আটক করেছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই প্রাক্তন ছাত্রকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে শুধু সৌরভকেই নয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রয়, হস্টেল সুপার তপন কুমার জানা, বাংলা বিভাগের প্রধান জয়দীপ ঘোষ এবং ডিন অফ সায়েন্স তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যলয়ের অস্থায়ী উপাচার্যকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা।

 

 

Previous articleকলকাতা হাই কোর্টেই চলবে যাবতীয় নিয়োগ মামলার শুনানি: সুপ্রিম নির্দেশ
Next articleরাহুলের ‘শাস্তি’ বহাল রাখা বিচারপতিকে গুজরাট থেকে পাটনা বদলি সুপ্রিমকোর্টের