Sunday, August 24, 2025

স্বপ্নদীপের শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁ.কা, যৌ.ন নির্যা.তনের প্রমাণ; দাবি শিশু সুরক্ষা কমিশনের

Date:

যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। স্বপ্নদীপের রহস্যমৃত্যু নিয়ে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ১৮ বছরের কম বয়স হওয়া যাদবপুর কাণ্ডে এবার মৃত পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে রানাঘাটে দেখা করলেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা।
স্বপ্নদীপ ছিল নাবালক। তাই, ওই ছাত্রর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে পদক্ষেপ করল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। মৃত স্বপ্নদীপের বাড়ি্তে গেলেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা।রাজাযপালের কাছে রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি কলকাতার পুলিশ কমিশনারকেও চিঠি পাঠিয়েছে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে, কী ভাবে এমন ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল ক্যাম্পাসে ঘটল, কোন কোন বহিরাগত ও প্রাক্তনী সেই সময়ে হস্টেলে ছিল?তাদের তালিকা এবং তাদের উপস্থিতির কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে সিপি-র কাছে। একই সঙ্গে ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ কমিশন চেয়েছে পুলিশের কাছে। যদিও যাদবপুরের হস্টেলে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই।
শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চট্টোপাধ্যায় বলেন, মৃতের পরিবার তাদের জানিয়েছে, শরীরে ঘি মাখানোর সময় তারা সারা শরীরে অসংখ্য ছ্যাঁকার দাগ দেখতে পান।এই দাগগুলি সিগারেটের ছ্যাঁকা বলে তারা জাবনতে পেরেছেন। এমনকী ছাত্রটিকে যৌন নির্যাতনও করা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে তিনি জানান।অমানবিকভাবে তাকে মারা হয়েছিল বলে তিনি জানান।
শিশু কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা যাদবপুরের মেন হোস্টেলে যাব। সেখানে সিসিটিভি রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখব। রেজিস্টার খাতাও দেখা হবে। যদি সেখানে দেখা যায় সিসিটিভি নেই, রেজিস্টারে খাতা মেইনটেন হয় না, তাহলে সেটা অমার্জনীয় অপরাধ। সেগুলি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও রেয়াত করা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, যাদবপুর নিয়ে এর আগেও নানান অভিযোগ উঠেছে।কিন্তু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন সিসিটিভি নেই সেই প্রশ্নের উত্তর তারা জানতে চাইছেন।এমনকি যারা সিসিটিভির বিরুদ্ধে ছিলেন, এই ঘটনার পর তারা মুখ লুকানোর জা্য়গা পাচ্ছেন না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পাশাপাশি তিনি বলেন, ওর বয়স এখনও ১৮ হয়নি বলে আমরা জানতে পেরেছি। ফলে এটা পকসো আইনের আওতায় পড়ে। কিন্তু এটা যেহেতু এতদিন জানা ছিল না, তাই ওর নাম-পরিচয় সবই সামনে চলে এসেছে। কিন্তু আমাদের বিনীত অনুরোধ, এর পর থেকে যেন ওর নাম সামনে না আসে।’ অনন্যা চক্রবর্তী এদিন আরও বলেন, ‘তিন জন ছেলে গ্রেফতার হয়েছে এই ঘটনায়, খুব ভাল কথা। কিন্তু এত বছরের অনিয়মকে যারা প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে, সিসিটিভি লাগাতে দেয়নি, তারা সকলেই কিন্তু প্রশ্নের মুখে।

 

 

 

Related articles

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...

ফলতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইলিশ উৎসব, পড়ুয়াদের জন্য পাতে ভাপা–ভাজা ইলিশ

বাজারে ইলিশের যা আগুন ছোঁয়া দাম তাতে উচ্চবিত্তদেরই পাতে ইলিশ জোটাতে হিমশিম খাওয়ার জোগাড়। কিন্তু সেই  দুর্মূল্যের বাজারেই...

আমেরিকায় চিঠি–পার্সেল পাঠানোয় বিধিনিষেধ, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগের 

ভারত–মার্কিন শুল্কযুদ্ধের জেরে এবার বড়সড় প্রভাব পড়ল ডাক পরিষেবায়। আমেরিকায় চিঠি ও পার্সেল পাঠানোর প্রক্রিয়ায় বিধিনিষেধ জারি করল...
Exit mobile version