Thursday, December 4, 2025

কেন জা.তি-হিং.সা মণিপুরে? বিস্ফো.রক অভিযোগ কাকলির

Date:

Share post:

মণিপুরের অশান্তি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। অনাস্থা বিতর্কেও তিনি যেমন মণিপুর নিয়ে সরব ছিলেন লোকসভা অধিবেশন, একইভাবে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি। তাঁর মতে, সেখানে অশান্তির নেপথ্যে মাদকের রমরমা কারবার এবং তারসঙ্গে বৈদেশিক শক্তির হাত রয়েছে।

২০১০ থেকে মণিপুর আর উত্তরপ্রদেশের অবজার্ভার ছিলেন তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার (KakoliGhosh dastidar)। ১০০ দিন ধরে জাতিগত হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। প্রায় দুশোর কাছাকাছি মানুষ হিংসার বলি হয়েছেন। গত ২০ জুলাই তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধির দল গিয়েছিল মণিপুরে। দলে ছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদারও। তিনি বলেন ,২০১০ থেকেই ওখানকার দুই জনজাতির মধ্যে মনকষাকষি ছিল। তখনও যেমন সেখানে উন্নয়নের অভাব ছিল আজও সেখানে উন্নয়নের অভাব। যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বারাক ভ্যালি পর্যন্ত রেললাইন বসানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। মনমোহন সিং সরকার থাকাকালীন উত্তর-পূর্বের উন্নয়নের জন্য ফান্ড চালু করেছিল কিন্তু যেহেতু ওখানকার কোনও শংসাপত্র দিতে হয় না তাই ওখানকার উন্নয়ন কতটা হবে তার পুরো দায় রাজ্য সরকারের।

কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানান, পাহাড়ে থাকা কুকি জনজাতিরা তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত। সেই কারণে মণিপুরের পাহাড় এবং সমতল দুই জায়গাতেই জমি কিনতে পারেন। তবে সমতলের মেইতিরা তা পারেন না। পাহাড়ের জমি কেনার এত চাহিদার একমাত্র কারণ হল, সেখানে আফিম চাষ করা হয় এবং এই চাষে অন্য দেশ থেকে মদত দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “এই জঙ্গি গোষ্ঠীর থেকে ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সাহায্য নিয়েছিল বিজেপি। সেই জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম জেলারো। অসমে অশান্তির মূল পরেশ বড়ুয়া বর্তমানে চীনে রয়েছে।” কাকলির অভিযোগ, তাদের মূল লক্ষ্যই হল এদেশে অশান্তি তৈরি করা এবং দীর্ঘদিন চেষ্টা করতে করতে এবার তারা মণিপুরে একটা ভয়ংকর অশান্তি সংগঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। মণিপুরে ২টি লোকসভা আসন রয়েছে এবং সেখানকার মোট জনসংখ্যা ২৫ লক্ষ। তিনি জানান, “এইটুকু ছোট্টো অঞ্চলে ৭০ হাজার আধা সামরিক বাহিনী রয়েছে। তা সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, নাকি সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে না।” তিনি বলেন, “কী ধরণের অশান্তি, হিংসা, ধর্ষণ, বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেটা দূর থেকে বোঝা মুস্কিল। একটা দেশের কোনও প্রান্তে যদি এরকম যুদ্ধ বেঁধে যায় তাহলে সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা এবং লজ্জা। মণিপুরের ঘটনায় সেটাই হয়েছে।”

মণিপুরে মহিলাদের অত্যাচার নিয়ে সরব হন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন, “ধর্ষণের ঘটনা, মেয়েদের ওপর অত্যাচারকে এই সময় হাতিয়ার করা হয়। সেখানে শয়ে শয়ে মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। তিনি বলেন “মণিপুরের রাজ্যপাল আমাদের সংসদে মণিপুর প্রসঙ্গ তোলার অনুরোধ করেছিলেন।” কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে তাঁর বক্তব্য, “মণিপুর চলে গিয়েছে, অরুণাচল চলে গিয়েছে, মিজোরামের একটা অংশ চলে গিয়েছে, গালোয়ান উপত্যকা গিয়েছে, তাহলে সরকার করছেটা কি?”

আরও পড়ুন- কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে বাংলাকে ‘নকল’ করার নির্দেশ কেন্দ্রের!

spot_img

Related articles

হেমন্ত সোরেন যোগ দিচ্ছেন NDA-তে! জবাব দিলেন কংগ্রেসের বেণুগোপাল

পাঁচদিনের জন্য দিল্লি গিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। এমন নয় প্রথমবার। তাতেই গোদি মিডিয়া তা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু করে...

কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন! দ্রুত কমছে এসআইআর-এ ভোটারহীন বুথ 

এসআইআর-এর ভোটারহীন বা ‘শুষ’ বুথগুলির সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে যে সংখ্যা ছিল ২২০৮,...

বহুতল সমস্যা সমাধানে সর্বদা পাশে রাজ্য সরকার: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বহুতল সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেস পাশে থাকবে। আরও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার...

রাজ্যের শিক্ষক-কর্মীদের জন্য সুখবর: এবার মিলবে অতিরিক্ত ১০% মহার্ঘ ভাতা

স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল যে রাজ্যের সরকারি ও সরকারপোষিত স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের শিক্ষক...