Thursday, November 6, 2025

এবার কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা সরাসরি রাজ্যের হাতে নয়,থাকবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে

Date:

Share post:

এবার থেকে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা সরাসরি রাজ্যের হাতে আসবে না, তা রাখা হবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে। এত দিন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা সরাসরি হাতে পাওয়া যেত। কেন্দ্র যে টাকা বরাদ্দ করত, সেই টাকা সরাসরি আসত রাজ্যে এবং তা তোলা থাকত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কে।এর জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের নামে অ্যাকাউন্টও রয়েছে ওই ব্যাঙ্কে।এতদিন কেন্দ্রের তরফে সরাসরি প্রকল্প অনুযায়ী টাকা আসত রাজ্যের হাতে। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের প্রাপ্য টাকা রাখা থাকবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে। প্রয়োজনে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকেই টাকা তুলতে হবে রাজ্য সরকারকে।

রাজ্য সরকারের যখন প্রয়োজন হবে, টাকা তখনই তোলা যাবে। তবে আগের মতো অ্যাঙ্কাউন্টে টাকা ফেলে রাখা যাবে না। প্রকল্প ভিত্তিক টাকা ব্যয় করতে পারবে রাজ্য সরকার। নতুন নিয়মে এক প্রকল্পের টাকা অন্য প্রকল্পে ব্যয় করা যাবে না, কারণ রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে সব হিসাব দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই নিয়ম শুধু পশ্চিমবঙ্গের জন্য নয়, অন্যান্য রাজ্যের ক্ষেত্রের প্রযোজ্য হতে চলেছে।

কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই সব রাজ্যকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, ট্রেজারির সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকল্পগুলোর টাকা পরিচালিত করা হবে। সূত্রের খবর, প্রতিটি মন্ত্রকে একটি করে কেন্দ্রীয় নোডাল এজেন্সি তৈরি করা হবে। তারাই রিজার্ভ ব্যাঙ্কে রাজ্যের নামে অ্যাকাউন্ট খুলবে। বাজেটে বরাদ্দ টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মারফতই পাবে রাজ্যগুলো। এক্ষেত্রে রাজ্যের তেমন সমস্যা না হলেও বিভ্রাটে পড়তে পারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলো। কেন্দ্রের তরফে বিপুল অঙ্কের টাকা আচমকাই বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যায় পড়বে রাজ্যের ব্যাঙ্কগুলো।

জানা গিয়েছে,  সম্প্রতি সব রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক বাংলাকেও এই বিষয় লিখিত ভাবে জানিয়েছে। বাংলাকেও নোডাল এজেন্সি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে হবে। অন্যদিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে খুলতে হবে নতুন অ্যাকাউন্ট।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, কেন্দ্রের বরাদ্দ নিয়ে যেভাবে কুৎসা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তা কারও অজানা নয়। যেদিন বিজেপি শাসিত রাজ্যে প্রয়োগ হবে তখন দেখবো কেমন লাগে, কেমন দেখতে লাগে বিজেপি নেতাদের মুখ। ‘ইন্ডিয়া’র মাধ্যমে যখন কেন্দ্রে নতুন সরকার আসবে, বিজেপি থাকবে না তখন এগুলো ফিরে আসবে। তখন আমরা দেখব মজা।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন ক্ষেত্রেই বিরোধীরা অভিযোগ করেন, এক প্রকল্পের টাকা অন্য প্রকল্পে খরচ করে রাজ্য সরকার। এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক হয় বিস্তর। শুধু তা-ই নয়, অব্যবহৃত টাকা স্রেফ অ্যাকাউন্টে রেখে দেওয়ার জন্য বিপুল টাকা সুদও ‘অনৈতিক ভাবে’ ব্যবহার করেছে রাজ্য সরকার, এমন অভিযোগও করা হয়েছে। কিন্তু নতুন নিয়ম চালু হলে, এই দুই কাজই করা সমস্ত রাজ্যের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ।

 

 

 

 

 

 

 

spot_img

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...