রাজস্থানের(Rajsthan) কোটায় ফের এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু। মৃত যুবক বিহারের গয়ার বাসিন্দা, নাম বাল্মিকী জাঙ্গিদ(১৮)(Balmiki Jangid)। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান আত্মহত্যা করেছে ওই পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, জয়েন্ট এন্ট্রান্সের অন্তিম পরীক্ষায় ভাল ফল করতে চেয়ে গত বছর থেকে কোটায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন ওই পড়ুয়া। মঙ্গলবার রাতে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কারণ চলতি মাসে এটি চতুর্থ আত্মহত্যা এবং চলতি বছরে এই নিয়ে ২২ পড়ুয়া আত্মহত্যা করল কোটায়(Kota)।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ আগস্ট বাল্মীকি সারা দিন তাঁর ঘর থেকে বের হননি। সন্ধ্যায় তাঁর বাড়ির দরজায় ধাক্কা দেওয়া হলেও সে দরজা খোলেনি। এরপর দরজা ভেঙে বাল্মীকিকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ঘরের ভেতর। দরজার স্কাইলাইট থেকে স্কার্ফ দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন ওই ছাত্র। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রের ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। কোটায় বারবার এভাবে ছাত্র আত্মহত্যার ঘটনায় স্বভাবিকভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত ২২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। বারবার আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। রাজস্থান সরকারের তরফে কোটায় শিক্ষার্থীদের জন্য হেল্পলাইন সহ একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য পেতে ইদানীং কোটার বিকল্প নেই, অন্তত এমনটাই মনে করেন বহু অভিভাবক। তাই সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় বহু মা, বাবা ছেলে, মেয়েকে প্রতি বছর পড়তে পাঠান কোটায়। সেখানে অসংখ্য কোচিং সেন্টারে উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়তে প্রশিক্ষণ নেন পড়ুয়ারা। যদিও প্রদীপের তলার অন্ধকারের মতো এ বছর শুধুমাত্র কোটায় ২২ জন পড়ুয়ার মৃত্যু হল অস্বাভাবিক ভাবে। কেবলমাত্র অগস্ট মাসে এ নিয়ে চার পড়ুয়ার মৃত্যু হল।
