‘কথার পরে কথাই পায়, কথার সুরে কথাই গায়’ – ঠিক যেন এই কথাগুলোকেই নিজের ভাষ্যপাঠ আর কবিতার ছন্দে ছন্দে প্রাণবন্ত করে তুললেন টেকনো ইন্ডিয়ার (Techno India) কর্ণধার সত্যম রায়চৌধুরী (Satyam Roychowdhury)। শ্রাবণ সন্ধ্যায় বৃষ্টিমুখর আমেজে এক সাঙ্গীতিক উপস্থাপনার সাক্ষী হল শহর কলকাতা (Kolkata)। অনুষ্ঠানের নাম ‘বরষা মেশে কৃষ্ণ বেশে’। যেখানে কবিতার ছন্দ, নৃত্যের তাল আর গানের সুর মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল। অনুষ্ঠানে ভাষ্যপাঠে ছিলেন টেকনো ইন্ডিয়ার কর্ণধার সত্যম রায়চৌধুরী। তিনি শুধু যে দেশের প্রতিভাবান ভবিষ্যৎ ভবিষ্যৎকে এক উন্নত শিক্ষা পরিকাঠামোর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা নয়, সংস্কৃতির বিকাশে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানকে আরও একবার স্পষ্ট করে তুলে ধরল ICCR পেক্ষাগৃহে আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠান।

বাইরে তখন বৃষ্টি পড়ছে, কখনও রিমঝিম কখনও ঝমঝম। কিন্তু সংস্কৃতি অনুরাগী শ্রোতাদের উপস্থিতিতে পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে তখন শুধুই সুরের মূর্ছনা। সংগীত পরিবেশন করলেন বিশিষ্ট শিল্পী সৌম্য বসু (Soumya Basu) এবং অদিতি মুন্সী (Aditi Munshi)। কথায় কবিতায় গানের সুর ঝংকারে মিশে গেল নৃত্যের তাল। বৈষ্ণব পদাবলীর চেনা চরিত্ররা তখন জীবন্ত হয়ে প্রেমের উপাখ্যান তৈরি করছে সৌমিলি ঘোষ বিশ্বাস (Soumili Ghosh Biswas) ও অর্ণব বন্দোপাধ্যায়ের (Arnab Bandopadhyay) নৃত্য উপস্থাপনায়। করতালিতে ফেটে পড়ছে প্রেক্ষাগৃহ। রাধা কৃষ্ণের প্রেম, সে যে চিরন্তন! যুগে যুগে নানা আঙ্গিকে তার পট পরিবর্তন হলেও গভীর ভালোবাসার নির্যাস আজও অন্তরে বহন করে চলেছি আমরা। বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে যেন সেটাই প্রস্ফুটিত হয়ে উঠলো। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক স্বপন দেবনাথ, সত্যম রায় চৌধুরীর স্ত্রী মৌ রায়চৌধুরী সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা।
