বাংলায় বিজেপির দুর্দশা আর দেখা যাচ্ছে না: শাহ সাক্ষাতে জানালেন দিলীপ

প্রচারলোভী দলবদলুদের নেতৃত্বে বঙ্গে বিজেপির(BJP) সংগঠন যে ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে, এ অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের অন্দরে প্রায়ই শোনা যায়। জায়গায় জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও চরম আকার নিয়েছে। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই অমিত শাহের(Amit Shah) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। সেখানেই শাহের সামনে বঙ্গে বিজেপির শোচনীয় অবস্থার কথা তুলে ধরলেন দিলীপ। জানালেন, “বাংলায় বিজেপি ঢিমে হয়ে গিয়েছে। কার্যকর্তাদের মধ্যে উৎসাহ কমে গিয়েছে। এই দুর্দশা আর দেখা যাচ্ছে না!”

সম্প্রতি অমিত শাহের হঠাৎ তলবে দিল্লি গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই বাংলায় সাংগঠনিক হাল হকিকত বিশদে শাহের কাছে তুলে ধরেন দিলীপ। শাহ সাক্ষাতে তাঁর কথোপকথন সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেছেন দিলীপ। যেখানে তিনি বলেন, “অনেক কথা হয়েছে। যা ক’দিন আগে রাজ্য পার্টির বৈঠকে বলেছি, সেগুলিই অমিতজিকে বলেছি। পার্টি কেমন চলছে, সে কথাও পরিষ্কার করে জানিয়েছি।” সেখানে সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য তুলে ধরে অমিত শাহ বলেন, ওনার মতে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির ভালো ফল হয়েছে। সে বক্তব্য খণ্ডন করে দিলীপ জানান, “কে বলছে পঞ্চায়েতে রেজাল্ট ভাল হয়েছে? রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। আর তারপর থেকে সংগঠনে গতি কমে গেছে। আমি সংগঠনের লোক। আমি বুঝতে পারি, সংগঠন কেমন চলছে।”

শুধু তাই নয়, রাজ্যের বেহাল অবস্থার কথা স্পষ্ট করে তুলে ধরে অমিত শাহকে অভিযোগ জানিয়ে দিলীপ বলেন, “আমি মনে করি, গত পাঁচ-সাত বছর ধরে যাঁরা পার্টিকে শক্তিশালী করেছেন, পার্টিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলার প্রধান বিরোধী দল করে তুলেছেন সেই নেতাদের সংগঠনে ফেরানো দরকার। তাঁদের উদ্যম, অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে। আমি রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন এই নেতাদের কাজে লাগিয়েছি। পার্টি সংগঠনে নবীন ও প্রবীণ, দুই নেতৃত্বই সমান জরুরি।” অর্থাৎ দিলীপ স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেন, প্রচারমুখী দলবদলুদের সামনের সারিতে আনার জেরে লড়াকু কর্মীদের সাইড লাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। যার জেরেই জায়গায় জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার নিয়েছে বলে বুঝিয়ে দেন দিলীপ ঘোষ। শুধু তাই নয়, রাজ্য সংগঠনের দায়িত্বে না থাকায় তাঁকে যে গুরুত্ব দেওয়া হয় না সে অভিযোগ করে দিলীপ জানান, “আমি যখন সংগঠনের দায়িত্বে ছিলাম তখন রাজ্য পার্টিতেও বলেছি। এখন আর সংগঠনের দায়িত্ব নেই। আমার কথা তখন সকলের পছন্দ হয়নি। তবে আমাদের পার্টিতে আরও জায়গা আছে বলার। সেখানে বলেছি।”

Previous article“পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালনের নয়া দিন নির্ধারণ, প্রস্তাব আসছে বিধানসভায়
Next articleজম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের ‘সাংবিধানিক বৈধতা’র দাবি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের