এএফসি কাপের প্লে-অফে ম্যাচে দুরন্ত জয় পেল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। এদিন ঢাকা আবাহনীকে হারাল ৩-১ গোলে। বাগানের হয়ে গোল জেসন ক্যামিন্স এবং সাদিকু। একটি আত্মঘাতী। এই জয়ের ফলে এএফসি কাপের মূলপর্বে পৌছে গেল সবুজ মেরুন ব্রিগেড।
ম্যাচে এদিন শুরু থেকেই চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। তবে ম্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে যায় জুয়ান ফেরান্দোর দল। ম্যাচের ১৭ মিনিটের মাথায় ১-০ গোলে পিছিয়ে পরে মোহনবাগান। কর্ণার কিক থেকে বিশাল কাইথের ভুলের সুযোগ নিয়ে বাগানের জালে বল জড়ান ঢাকা আবাহনীর কর্নেলিয়াস এজেকিয়েল। এর পরই পাল্টা আক্রমণ চালায় জুয়ানের দল। ম্যাচে ফিরে আসার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু ভুলভাল পাস দিয়ে কিছুটা হলেও ছন্দ হারায় বাগান। যার ফলে আক্রমণে গেলেও, ঠিক ঠাক জায়গায় পাস দিতে পারছে না তারা। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছিল। সুযোগ তৈরি হলেও, কিন্তু তা কোনও ভাবেই কাজে লাগছিল না। তবে এরই মধ্যে ম্যাচের ৩৬ মিনিটে পেনাল্টি পায় জুয়ানের দল। সেই সুযোগের সৎ ব্যবহার করেন জেসন ক্যামিন্স। গোল করে বাগানের হয়ে ১-১ করেন তিনি। এরপর ফের আক্রমণে যায় সবুজ-মেরুন। ফের একবার সুযোগ তৈরি করে ফেলেছিলেন ক্যামিন্স। কিন্তু বল জালে জড়াতে পারেননি তিনি। এরই মধ্যে পাল্টা আক্রমণ চালায় ঢাকা আবাহনী। পোস্টে লেগে বল ফিরে আসায় গোল আর হয়নি। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল থাকে ১-১।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় জুয়ান ফেরান্দোর দল। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে এগিয়ে যায় বাগান ব্রিগেড। ঢাকা আবাহনীর ফুটবলার মিলাদের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে এগিয়ে যায় জুয়ানের দল। এর ঠিক দু’মিনিটের ব্যবধানে ফের এগিয়ে যায় মোহনবাগান। বাগানের হয়ে ৩-১ করেন সাদিকু। এরপর বেশ কিছু পরিবর্তন করেন জুয়ান। লিস্টন কোলাসোর পরিবর্তে মাঠে নামেন আশিক। আর সাহালের পরিবর্তে মাঠে নামেন গ্লেন। ক্যামিন্সের বদলে কিয়ান এবং আশিস রাইয়ের পরিবর্তে নামেন হামতে। তবে এরপর আক্রমণে গেলেও গোলের ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি সবুজ-মেরুন।
আরও পড়ুন:৮ সেপ্টেম্বর ইডেনে আসছে বিশ্বকাপের ট্রফি, ট্রফি নিয়ে হবে একটি র্যালিরও : সূত্র