“প্রতিটি ভারতীয়ের যৌথ সাফল্য চন্দ্রাভিযান”, বার্তা কংগ্রেস সভাপতি খাড়গের

সাফল্যের সঙ্গে চাঁদের দক্ষিন মেরুতে পা রেখেছে ভারত(India)। তবে রাজনীতির ময়দানে ইসরোকে ছাপিয়ে এই সাফল্যের কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টায় মরিয়া নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। ইতিমধ্যেই সেই লক্ষ্যে প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি(BJP)। তবে চন্দ্রাভিযানের(Chandrayan) সাফল্যের পর বিজেপির পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিল কংগ্রেস(Congress)। দীর্ঘ বার্তায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে(Mallikarjun Kharge) লিখলেন, “প্রতিটি ভারতীয়ের যৌথ সাফল্য চন্দ্রাভিযান। এবং দীর্ঘ ৬ দশক পর মহাকাশ অভিযানে অন্যতম বড় এই সাফল্য।” পাশাপাশি খাড়গে লেখেন, “আমরা আমাদের বিজ্ঞানী, মহাকাশ প্রকৌশলী এবং গবেষকদের জন্য অত্যন্ত গর্বিত। এই মিশনটিকে ভারতের বিজয়তালিকায় নথিভুক্ত করার জন্য জড়িত সকলের অসাধারণ কঠোর পরিশ্রম, অতুলনীয় চাতুর্য এবং উৎসর্গের কাছে গভীরভাবে ঋণী।”

পাশাপাশি চন্দ্রাভিযানে ভারতের সাফল্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর প্রশংসা করা হয় কংগ্রেসের তরফে। মহাকাশে ভারতের সাফল্য তুলে ধরে কংগ্রেস সভাপতি লেখেন, “এই সাফল্যগুলি পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর দৃষ্টিভঙ্গির এক একটি প্রমাণ। নেহরু এবং আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করেছিলেন যে বিজ্ঞানের প্রতি সমালোচনামূলক অঙ্গীকারই চেতনাকে প্রজ্বলিত করে। বিজ্ঞানই আমাদের সদ্য স্বাধীন জাতির বিকাশের চেতনাকে চালিত করতে পারে। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং দূরদৃষ্টি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার ভিত্তি স্থাপন করে।”

 

পাশাপাশি চন্দ্রযানের সাফল্যের পর কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী টুইটারে লেখেন, “আজকের এই অসামান্য কৃতিত্বের জন্য টিম ইসরোকে অভিনন্দন। চন্দ্রযান ৩ -এর দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ আমাদের বৈজ্ঞানিকদের কয়েক দশকের অসামান্য বুদ্ধিমত্তা এবং কঠোর পরিশ্রমের ফল। ১৯৬২ সাল থেকে, ভারতের মহাকাশ কর্মসূচী নতুন শিখর ছুঁতে এবং তরুণ প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।”

Previous articleযাদপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামলেন বারাসতের তৃণমূল শিক্ষক সমিতির সদস্যরা
Next articleবাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি বিশ্ব জয় করবে, টেলি অ্যাকাডেমি অনুষ্ঠানে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী