দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। কমপক্ষে ৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে।অভিযোগ উঠেছে এমন বাজি কারখানায় কোনও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছিল না।এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, বাজি কারখানা মানেই বেআইনি এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।এভাবে প্রাণ যাওয়াটা অত্যন্ত দু:খের। দাক্ষিণাত্য, শিবকাশি যদি দেখেন তাহলে সেখানে বাজি কারখানায় নিয়মিত এমন ঘটনা ঘটে।বাজি কারখানা তুলে দিতে হবে এই আওয়াজ যদি ওঠে তাহলে তা বিপদজনক। কারণ, এর সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান জড়িয়ে আছে। বাজি একটা শিল্প। কিভাবে সতর্কতার সঙ্গে সেখানে কাজ করা যায় এজন্য বারবার বলা হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। পুলিশ প্রশাসন দেখছে সেখানে কোনও আপত্তিকর ভুল কাজ হয়েছে কিনা।এই বাজি শিল্পের সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা প্রাণ হাতে নিয়ে কাজ করেন।আরও বেশি সতর্কতা নিতে হবে।
এদিনের বিস্ফোরণের তীব্রতায় প্রায় ধূলিসাৎ একটি দোতলা বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অন্তত ১০০টি বাড়ি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। রবিবার সকালে আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোষপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চল। স্থানীয়দের দাবি, ওই বাজি দোতলা বাড়িতে মজুত করে রাখা হত। তা ফেটেই এমন বীভৎস ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বাজি কারখানা চললেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেই অভিযোগ।
জখম হয়েছেন অনেকেই। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। দত্তপুকুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ দাবি করেছেন, এই ঘটনার পিছনে স্থানীয় এক আইএফএফ নেতার হাত রয়েছে। তিনিই মুর্শিদাবাদ থেকে লোক এনে বেআইনি ভাবে বাজি তৈরি করাচ্ছিলেন।