শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে বিটি রোডের দিকে একটু এগিয়ে সার্কুলার ক্যানেলের ঠিক পাশের গলিতে পৌঁছালে আপনার মনে হবে ভুল করে অন্য কোথাও চলে এসেছেন। দূরের গঙ্গা থেকে ভেসে আসা বাতাস আর পাখিদের কলকাকলি।জন্তুদের চিৎকারে সকাল সরগরম।কেউ বলে পাখির হাট কেউবা পশুর হাট।আবার কারও কারও মতে গাছের হাট।আবার মাছের হাটও বটে।অবশ্যই রঙিন মাছ।
বাজারের বয়স নিয়ে ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখলে জানা যায় প্রায় ২৭৫ হতে চলল এই হাটের বয়স।রবিবার গ্যালিফ স্ট্রিটে সখের হাট ব্যাবসায়ী সমিতির উদ্যোগে রক্তদান শিবিরও অনুষ্ঠিত হল।উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সংসদ তথা সাংবাদিক কুণাল ঘোষ, কলকাতা কর্পোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী সহ বিশিষ্টরা।এদিন প্রায় ১২০ জন রক্তদান করেন।এদের অধিকাংশই পোষ্যের হাটে আসা লোকজন।
কুণাল ঘোষ বলেন, মানুষের অবসাদ কাটাতে পোষ্যের হাট যে কতটা জরুরি তা যারা পোষ্য ভালোবাসেন তারাই বুঝবেন। এটির নাম শখের হাট ব্যবসায়ী সমিতি , কিন্তু এদের সঙ্গে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের রুটি-রুজি জড়িয়ে আছে। এর বয়স কলকাতার থেকে সামান্য কম। সবমিলিয়ে পোষ্যকে ভালোবেসে এই হাট সমস্ত নিয়মবিধি মেনে চলে।এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম এবং পুরনো হাট এটি।এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঐতিহ্য। এখানে যারা ব্যবসা করেন ৫ লক্ষের বেশি মানুষের অন্ন সংস্থান ও কর্ম সংস্থান এর সঙ্গে জড়িত।কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী বলেন, আমাদের বেঁচে থাকার সঙ্গে এই পোষ্যের হাটের নিবিড় যোগাযোগ।পোষ্যকে ভালবেসে লক্ষাধিক মানুষ প্রতি রবিবার এখানে হাজির হন।
এখানে কী নেই। ছোট্ট মলি থেকে জায়েন্ট আরোয়না। গোল্ডফিস, ডিসকাস প্যারোট মনের আনন্দে পাক খাচ্ছে মিষ্টি জলেই। মেরিন ফিসও আছে তবে তা সংখ্যায় কম। আর তারপর গাছ আর ফুল।কত যে নাম আর ততোধিক বাহার।