বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দত্তপুকুরে বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর আগেই শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন এই বিস্ফোরণে আরডিএক্স ব্যবহার করা হয়েছে। শুভেন্দুর এমন দাবির পর তাঁকে পাল্টা দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “লোডশেডিংয়ে জেতা বিরোধী দলনেতা বলছেন, বিস্ফোরণে আরডিএক্স ব্যবহার করা হয়েছে। আসলে এইসব বোমা নিয়েই ওর কারবার। শুভেন্দু বোমা বিশেষজ্ঞ। না হলে একজন সাধারণ মানুষ কীভাবে ফরেনসিকের লোকেদের মতো বলতে পারে, আরডিএক্স ছিল। বোমাবাজিতে শুভেন্দু খুব পটু। ওর নেতৃত্বে পূর্ব মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজি হয়।”

এরপরই কুণাল বলেন, ”শুভেন্দু নাকি বলেছে, এই জায়গা থেকেই বোমা নিয়ে গিয়ে জাকির হোসেনের উপর হামলা করা হয়েছিল। আসলে অপরাধ জগতের সঙ্গে শুভেন্দুর গভীর সম্পর্ক। অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসনের উচিৎ জাকির হোসেন মামলায় শুভেন্দুকে করা। নোটিশ দিয়ে ওকে ডেকে পাঠানো উচিত। ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য পাবে পুলিশ।”

এদিন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকেও একহাত নেন কুণাল। তাঁর কথায়, ”সেলিমদের মুখে বড় কথা মানায় না। ওনাদের জমানায় জ্যোতি বসু যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন রাইটার্স আর লালবাজার থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রশিদ খানের বাড়ি উড়ে গিয়েছিল বিস্ফোরণে। রশিদ খান গ্রেফতার হলেও সিপিএমের কোনও নেতার গায়ে হাত দেয়নি পুলিশ। কিন্তু লক্ষী দে’র মতো সিপিএম নেতাদের ছাত্রছায়ায়
ছিল এই রশিদ খান। দলের ৬ জন নেতাকে সিপিএম সাসপেন্ড করলেও পুলিশ গ্রেফতার করেনি। সুতরাং, মহম্মদ সেলিমদের মুখে বিস্ফোরণের কথা মানায় না।”

এখানেই শেষ নয়। সিপিএম জমানায় রাজ্যজুড়ে একের পর এক সন্ত্রাস আর বোমার ইতিহাস মহম্মদ সেলিমকে মনে করিয়ে দিলেন কুণাল। তিনি বলেন, “সেলিম ভুলে গেলেন বাসন্তীর বোমাবাজির কথা। যেখানে ওনাদের শরিক দলের নেতা আরএসপি মন্ত্রীর বাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছিল সিপিএম। মন্ত্রী সুভাষ নস্কর নিজে সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। এখন সেসব ভুলে গিয়ে শুধু জ্ঞান দিচ্ছেন সেলিমরা। ভাঙছেন নতুন প্রজন্মের কেউ বিষয়টি জানেন না।”
আরও পড়ুন- দিনদুপুরে ভাটপাড়ায় শ্রমিককে লক্ষ্য করে গু.লি, এলাকায় চাঞ্চল্য
