জনজাতি ছাত্র বিক্ষো.ভে অশান্ত ত্রিপুরা, গ্রে.ফতার শতাধিক

জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘তুইপ্রা স্টুডেন্টস ফেডারেশন’ (টিএসএফ)-এর ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল ত্রিপুরা(Tripura)। আগরতলা(Agartala) সহ ত্রিপুরার একাধিক জেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পাশাপাশি দফায় দফায় চলল পথ অবরোধ। ঘটনার জেরে অন্তত শতাধিক টিএসএফ-এর(TSF) নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টিএসএফ-এর দাবি, বাংলা(Bengali) নয়, জনজাতিদের ভাষা ককবরকের জন্য চাই রোমান লিপি।

জানা গিয়েছে, জনজাতিদের ভাষা ককবরক-এর জন্য রোমান লিপির দাবি দীর্ঘদিনের। ত্রিপুরা সরকারের কাছে জনজাতি ছাত্র সংগঠনের তরফে এই দাবি বারবার রাখা হলেও কোনও সদর্থক উত্তর আসেনি। এই অবস্থায় ‘তুইপ্রা স্টুডেন্টস ফেডারেশন’ (টিএসএফ)-এর ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট ডাকা হয় ত্রিপুরায়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন’ (এনইএসও)-এর তরফেও সোমবারের ধর্মঘটকে সমর্থন জানানো হয়। তাঁদের আবেদন অবিলম্বে সংসদে সংবিধানের ১২৫তম সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে রোপান লিপিতে ককবরক ভাষা চালু হোক। এদিন এই বনধকে কেন্দ্র করেই উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এ প্রসঙ্গে টিএসএফের সাধারণ সম্পাদক হামাল জামাতিয়া বলেন, “আমরা দু’মাস আগে রাজ্য সরকারের কাছে রোমান লিপির দাবিতে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলাম, কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক উত্তর পাইনি।”

উল্লেখ্য, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ধূপগুড়ির সঙ্গে ত্রিপুরার জোড়া বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। তার আগে জনজাতি বিক্ষোভের জেরে শাসক বিজেপির উপর চাপ বাড়ল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল, জনজাতি সংগঠন তিপ্রা মথা ইতিমধ্যেই ধনপুর এবং বক্সনগর বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী না দিয়ে সিপিএম প্রার্থীদের সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছে। ত্রিপুরায় বামেদের সহযোগী কংগ্রেসের বিধায়ক গোপাল রায় সোমবার বলেন, “ত্রিপুরার স্বীকৃত ভাষা ‘ককবরক’। রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। ত্রিপুরা সরকারের উচিত ককবরকে আগও গুরুত্ব দেওয়া। এডিসি এলাকার অনেক বিদ্যালয়ে ককবরক শিক্ষকের পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে।”

Previous article৩৭০ ধারা বাতিল ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্র.তিবাদ! সাসপেন্ডেড অধ্যাপকের পাশে সুপ্রিম কোর্ট
Next articleচাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা, বিক্ষোভের মুখে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ