কোটায় ফের আত্ম.ঘাতী ২ পড়ুয়া! পরীক্ষা স্থগিতের নির্দেশ দিল জেলা প্রশাসন

0
4

ফের পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনায় শিরোনামে রাজস্থানের কোটা। এ বার একই দিনে আত্মঘাতী দুই পড়ুয়া। একজনের ঝুলন্ত দেহ মিলেছে হস্টেলের ঘর থেকে।অন্যজন, ছ’তলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। চলতি বছরে এই নিয়ে মোট ২৪ জন পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।পড়ুয়াদের মৃত্যুমিছিলের জেরে এ বার কোটার জেলাশাসক ওমপ্রকাশ বুনকার কোচিং প্রতিষ্ঠানগুলিকে একমাসের জন্য পরীক্ষা স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃফের কোটায় আত্মহত্যা পড়ুয়ার, চলতি বছরে সংখ্যাটা ২২

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে কোটার কোচিং সেন্টারের ছ’তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন। মৃতের নাম আবিষ্কার শুভাঙ্গি। মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা আবিষ্কার কোটায় দাদু-দিদিমার সঙ্গে থাকতেন।একইদিনে বিকেলে হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় বিহারের থেকে পড়তে আসা এক পড়ুয়ার দেহ।মৃতের নাম আদর্শ। পুলিশ জানিয়েছে, আবিষ্কার এবং আদর্শ দু’জনেই ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট (নিট)-এর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ডেপুটি পুলিশ সুপার ধরমবীর সিংহ বলেন, “আবিষ্কার দ্বাদশ শ্রেণি এবং নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কোটায়। রবিবার তাঁর একটি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষাকেন্দের ছ’তলা থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা।”
পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে কোটায় ছাত্রমৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৫। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ২০, ২০১৭ তে ছিল সাত, ২০১৬ সালে ১৭ এবং ২০১৫ তে ১৮ জন। চলতি বছরের অষ্টম মাসে সেই সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২৪ ছুঁয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য পেতে কোটার বিকল্প নেই, এমনটাই মনে করেন বহু অভিভাবক। তাই সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় তাদের প্রতি বছর কোটায় পড়তে পাঠান বহু মা-বাবা।কিন্তু অস্বাভাবিক চাপের কারণে বহু পড়ুয়ার আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। চলতি বছরে আত্মঘাতী পড়ুয়ার সংখ্যা অনান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে।
যদিও পড়ুয়াদের এই মৃত্যু রুখতে স্প্রিং দেওয়া পাখা লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক ওমপ্রকাশ বুনকারের তরফে প্রকাশিত একটি নির্দেশিকায় কোটা শহরের সমস্ত হস্টেল এবং‌ হোটেল কর্তৃপক্ষকে যত শীঘ্র সম্ভব এই পাখা লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রবিবার সমস্ত হোস্টেলের বারান্দায় জাল লাগানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল তারপরও রোখা গেল না পড়ুয়ামৃত্যু।