ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল এফসি। এদিন সেমিফাইনালে নর্থইস্ট ইউনাইটেড টাইব্রেকারে ৩-৫ গোলে হারাল কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। সেমিফাইনালে দুই গোলে পিছিয়ে পরেও দুরন্ত কামব্যাক করে লাল-হলুদ ব্রিগেড।

পিছিয়ে পড়ে এগিয়ে আসা ইস্টবেঙ্গলের কাছে নতুন নয়। তবে গত কয়েক বছরে যে লড়াইটাই যেন হাওয়া হয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের থেকে। সেই লড়াই ফেরালেন কার্লেস কুয়াদ্রাত।ইস্টবেঙ্গলের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন সেই নন্দকুমার। ডার্বি গোলের পর, দল যখন সেমিফাইনালে ১-২ গোলে পিছিয়ে। হাতে মাত্র ১ মিনিট সময়। সেই জায়গা থেকে ঠাণ্ডা মাথায় বলটা গোলে প্লেস করে নায়ক সেই নন্দা। এরপর নির্ধারিত সময় ফলাফল না আসায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

প্রথম ১৫ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গলের গোল লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি আক্রমণ তুলে আনে নর্থইস্ট। খেলার শুরুতেই লাল-হলুদ রক্ষণকে বোকা বানিয়ে বক্সে ঢুকলেও গোল লক্ষ্য করে শট মারতে পারেননি ফাল্গুনী সিং। শুরু থেকেই ভালো খেলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। উল্টে গোল খেয়ে যাওয়ায় সমস্যা আরও বাড়ে। এদিনও কুয়াদ্রাত শুরুতে নামাননি ক্লেইটন সিলভাকে। ২২ মিনিটে ১-০ পিছিয়ে পরে লাল-হলুদ। নর্থইস্টকে গোল করে এগিয়ে দেন জাবাকো। প্রথমার্ধে ১-০ পিছিয়ে থাকে ইস্টবেঙ্গল।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পার্দোকে তুলে বোরহা হেরেরাকে নামাতেই ঘুরে দাঁড়ায় ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনে লাল-হলুদ। তবে সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দেয় ফাল্গুনির গোল। ৫৬ মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় নর্থইস্ট।ফাল্গুনির বাঁ পায়ের শট দ্বিতীয় পোস্টে লেগে জালে ঢুকে যায়। দুই গোল খেয়ে যাওয়ার পর ক্লেইটনকে নামান কুয়াদ্রাত। এরপর আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় লাল-হলুদ। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ১-২ হয় ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে। নর্থইস্টের ফুটবলার দিনেশের আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে ফেরে লাল-হলুদ। ডানদিক থেকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে পাস পেয়ে যান নাওরেম মহেশ সিং। তাঁর শট শেষ মুহূর্তে দিনেশের পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। কিছুই করার ছিল না মিরশাদ মিশুর। গোল পেয়েই সমতা ফেরাতে ঝাঁপায় ইস্টবেঙ্গল। শেষ মুহূর্তে গোল করেন নন্দা। নির্ধারিত সময় পযর্ন্ত ম্যাচের ফলাফল না আসায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর টাইব্রেকারে ৩-৫ জয় পায় ইস্টবেঙ্গল।


আরও পড়ুন:আসন্ন কিংস কাপের জন্য ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা স্টিম্যাচের
