চাঁদে বিশালকার গর্তের সামনে প্রথম বাধার মুখে প্রজ্ঞান!তারপর কী হল? টুইটে জানাল ইসরো

গুটি গুটি পায়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর এদিক ওদিক ঘুরে বেরাচ্ছে রোভার প্রজ্ঞান। কিন্তু চাঁদের দক্ষিণ মেরু বিপদসঙ্কুল। চারিদিকে গর্ত। সেসব সামলেই কাজ করছিল প্রজ্ঞান। কিন্তু চলার পথে আচমকাই চার মিটার গর্তের সামনে এসে পড়ে প্রজ্ঞান ।তবে, গর্তটি সফল ভাবেই পাশ কাটাতে পেরেছে প্রজ্ঞান বলে জানিয়েছে ইসরো।

আরও পড়ুনঃ চন্দ্রযান-ল্যান্ডারের প্রথম তোলা ভিডিয়ো প্রকাশ করল ইসরো!


ইসরো টুইট করে জানিয়েছে, প্রজ্ঞানের অবস্থানের চেয়ে তিন মিটার দূরে গর্তটি দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে রোভারটিকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ফলে কোনও বিপদ হয়নি।

চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে যেখানে চন্দ্রযান-৩ নেমেছে, এর আগে পৃথিবীর আর কোনও দেশ সেখানে মহাকাশযান অবতরণ করাতে পারেনি। ফলে দক্ষিণ মেরু এত দিন অনাবিষ্কৃত ছিল। ওই এলাকায় গর্ত, পাথর, ঢিবির পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশি। তার মধ্যেই ক্যামেরার সাহায্যে নিরাপদ স্থান বাছাই করে অবতরণ করেছে তৃতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম। গত ২৩ অগস্ট সেই অবতরণের পর ইতিহাসে নাম উঠেছে ভারতের।

এখনও ১০ চান্দ্রদিন কাজ করার সুযোগ পাবে প্রজ্ঞান। তার চ্যাস্ট পেলোড সক্রিয় হয়েছে। এর কাজ হল চাঁদের মেরু অঞ্চলের তাপমাত্রার প্রকৃতি নির্ধারণ করা। মূলত চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা, তাপমাত্রার বদল, থার্মাল কন্ডাক্টিভিটি পরীক্ষা করাই এর কাজ। চাঁদের মাটিতে গর্ত করে তার মধ্যে যন্ত্র ঢুকিয়ে তাপমাত্রা মাপছে প্রজ্ঞান। তার রেডিও অ্যানাটমি অব মুন বাউন্ড হাইপারসেনসিটিভ আয়নোস্ফিয়ার অ্যান্ড অ্যাটমস্ফিয়ারও অ্যাকটিভ হয়েছে। এর কাজ হল চাঁদের মাটিতে প্লাজমার ঘনত্ব বোঝা এবং আয়নিত কণা বা ইলেকট্রিন পার্টিকল পরীক্ষা করা। কীভাবে চাঁদের মাটিতে আয়নিত কণাগুলির নিরন্তর বদল ঘটছে তা পরীক্ষা করবে এই পেলোড। সেই কাজ শুরু হয়ে গেছে।