তৃণমূল নেতাকে বোমা মারার ঘটনায় NIA গ্রে.ফতার করে বাবাকে! দত্তপুকুরকাণ্ডে মৃ.ত্যু ছেলের, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন

প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা জাকির হোসেনকে নিমতিতা স্টেশনে বোমা মারার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ঈশা খান।তাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে সেই ঈশা খানের ছেলে রনির। শুধু ছেলেই নয় দুই আত্মীয়ও মারা গিয়েছেন এই বিস্ফোরণে। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এতদিন তাদের হেফাজতে থাকলেও কেন উঠে এল না ঈশার পরিবারের কোনও তথ্য? কোথায়, কী কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ঈশার পরিবারের সদস্যরা তা একবারও উঠে এল না তদন্তে? নাকি সব জেনেও চুপ ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা?

আরও পড়ুনঃ দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বি*স্ফোরণে সাসপেন্ড ওসি ওবং আইসি
এদিকে, ছেলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ঈশা। ছেলের অন্ত্যেষ্টিতে যোগ দিতে আদালতে প্যারোলের আবেদন করেন তিনি। বিশেষ এনআইএ আদালতে আবেদন জানান তিনি। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে আদালতের নির্দেশ, ঈশাকে নিরাপত্তা দিয়ে অন্ত্যেষ্টির কাজে যোগ দিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে। অর্থাৎ ছেলের শেষকৃত্য সম্পন্ন হলে ফের সংশোধনাগারে ফিরিয়ে আনা হবে তাঁকে।
প্রসঙ্গত,দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে বিস্ফোরণের ঘটনায় উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদের সুতির নতুন চাঁদড়া গ্রাম। বাজি কারখানায় মৃত ৯ জনের মধ্যে ৪ জনই এ গ্রামের বলে খবর। তাঁদের মধ্যে তালিকায় রয়েছেন ঈশা খানের ছেলে রনি। তাছাড়াও আছেন ঈশার ভাই জিরাত শেখও। যে জিরাত কেরামত শেখকে বিস্ফোরক সরবরাহ করতেন বলেই অভিযোগ। জিরাতের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীও দত্তপুকুরে থাকতেন। রবিবারের বিস্ফোরণের পর সেখান থেকে গ্রামে ফিরে যান জিরাত-পত্নী।

প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনকে নিমতিতা স্টেশনে বোমা মারার ঘটনায় অভিযুক্ত ঈশা খানকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। প্রাক্তন মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ছোড়া বিস্ফোরকের ‘সাপ্লায়ার’ হিসাবে উঠে এসেছিল ঈশার নাম। এমনও অভিযোগ ওঠে, আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল সে সময় আর ঈশাই তার জোগান দেন।তারপর থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে ঈশা।এতকিছুর পরও ঈশার পরিবারের কোনও তথ্য কেন প্রকাশ করেনি এনআইএ? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।