আপাতত ক্যাম্পাসমুখী হচ্ছেন না রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য

রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস সব কিছু জানার পরে আপাতত বাড়ি থেকেই তাঁকে কাজের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই সমস্যা চলছে। গত ৫ জুলাই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।মঙ্গলবার তিনি জানিয়ে দিলেন, আপাতত আর ক্যাম্পাসমুখী হবেন না।তাঁর আশঙ্কা, বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি নিগৃহীত হতে পারেন। তাই আপাতত বাড়ি থেকেই কাজ করতে চান তিনি। ইতিমধ্যে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কার কথা তিনি লিখিত ভাবে পুলিশ এবং রাজভবনকে জানিয়েছেন। রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস সব কিছু জানার পরে আপাতত বাড়ি থেকেই তাঁকে কাজের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

তবে রাজ্য সরকার এই নিয়োগের বিরোধিতা করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সংগঠনও এর বিরোধিতা করে। আর এই বিষয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সঙ্গে স‌ংঘাতের আবহ তৈরি হয় বলে দাবি করেছেন উপাচার্য।এদিন তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা ভুলে গিয়েছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা রাজ্য সরকারের নয়। রাজ্য অর্থ দিলেও আসলে সবাই বিশ্ববিদ্যালয়েরই কর্মী।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘আমায় যে কোনও ভাবে পদত্যাগ করাতে চাইছে কর্মচারী সংগঠন। গত শুক্রবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে, আমি ভয় পেয়ে যাই। সে দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বৈঠক ছিল। তার পরে চাপ তৈরি করে আমাকে দিয়ে ইস্তফাপত্র লিখিয়ে নেওয়া হবে বলে মনে হতেই বৈঠক শেষে আমি কলকাতা পুলিশের ডিসি (উত্তর)-কে ফোন করি। তিনি লিখিত ভাবে অভিযোগ জমা দিতে বলেন। সেই মতো সিঁথি থানায় অভিযোগপত্র পাঠিয়ে দিই। এর পরে সাদা পোশাকের পুলিশ এসে আমায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার করে আনে। এর পরে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাইনি।’’

উপাচার্যের দাবি, রাজভবন নিয়োগ করছে বলেই তাঁকে নিয়ে আপত্তি কর্মচারী সংগঠনের। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপাল আমাকে নিয়োগ করেছেন। তাই আমাকে সরাতে হলে তো রাজ্যপালকে বলা উচিত। আর আমি যেটা জানি যে, আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতেই আমাকে নিয়োগ করা হয়েছে। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। ১৫ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি। সেই সময় পর্যন্ত তো অপেক্ষা করা উচিত। কিন্তু তাতে কেউ কান দিচ্ছেন না।’’

এ হেন পরিস্থিতিতে আপাতত নিজের বাড়িকেই ‘দফতর’ বানিয়ে নিয়েছেন শুভ্রকমল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুবীর মৈত্রকে কয়েকটি ‘নির্দেশ’ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। সে সব ব্যবস্থা হওয়ার পরেই যাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুভ্রকমল চাইছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে লোহার গ্রিল লাগাতে হবে। উপাচার্যের দফতর এক তলা থেকে দোতলায় নিয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে ওই ভবনে সিসি ক্যামেরা এবং সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করতে হবে।

 

 

 

Previous articleভারতের ‘অরুণাচল’কে নিজেদের দাবি করে মানচিত্র প্রকাশ চিনের
Next articleগাজিয়াবাদে নিরাপত্তার*ক্ষীকে গণধ*র্ষণ ৩ সহকর্মীর !