প্রস্তুতি সম্পূর্ণ, শনিবারেই সূর্য জয়ের পথে ISRO!

চাঁদের বুকে সাফল্যের সঙ্গে অবতরণের পর এবার লক্ষ্য সূর্য। কিন্তু জ্ব*লন্ত অ*গ্নিপিণ্ডের কাছে পোঁছে যাওয়া সহজ কথা নয়। মূলত সূর্য সম্পর্কে জানার জন্যই এই মিশনটি শুরু করতে চলেছে ISRO। এই মহাকাশযান সূর্যের অরবিটে প্রতিস্থাপিত করা হবে।

চাঁদের বুকে ইতিহাস তৈরির পর আবার মাইলফলক তৈরির রাস্তায় পাড়ি দিতে প্রস্তুত ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। সপ্তাহের শেষেই সূর্যের পথে যাওয়া শুরু। হাতে মাত্র ৩ দিন। আগামী ২ সেপ্টেম্বর সূর্যের ঠিকানায় পৌঁছে যাওয়ার জন্য রওনা দিতে চলেছে আদিত্য এল ১ (Aditya L1)। সকাল ১১টা বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার (Satish Dhawan Space Centre)থেকে সূর্যের দিকে উড়ে যাবে এই মহাকাশযান। আজ বুধবার রকেটের সব ধরণের কলকব্জা পরীক্ষা করেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যেই সেই সুখবর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে শেয়ার করে ISRO জানিয়েছে যে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। লঞ্চ রিহার্সাল করা হয়েছে। আদিত্য এল-১ (Aditya L1)মহাকাশযানের অন্তর্বর্তী যন্ত্রপাতির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সবকিছু ১০০ শতাংশ ঠিক রয়েছে। কিন্তু সৌর মিশনে সূর্যের বুকে আদিত্য L1 পৌঁছবে না। চন্দ্রযান ৩-এর সেই দৃশ্য দেখা যাবে না আদিত্য এল ১-এর ক্ষেত্রে। খাতায় কলমে এটি সৌর মিশন (Solar Mission)হলেও বিজ্ঞানীরা বলছেন মহাকাশযানটির ডেস্টিনেশন আদৌ সূর্য নয়। তাহলে কীসের জন্য এই মিশন?

চাঁদের বুকে সাফল্যের সঙ্গে অবতরণের পর এবার লক্ষ্য সূর্য। কিন্তু জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ডের কাছে পোঁছে যাওয়া সহজ কথা নয়। মূলত সূর্য সম্পর্কে জানার জন্যই এই মিশনটি শুরু করতে চলেছে ISRO। এই মহাকাশযান সূর্যের অরবিটে প্রতিস্থাপিত করা হবে। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার। এই জায়গা থেকে আদিত্য এল ১ সূর্যের উপর ক্রমাগত নজরদারি চালাতে পারবে। ফলে সৌর জগতে কী কী ঘটছে এবং পৃথিবীর উপর তার কী প্রভাব পড়ছে সেই সম্পর্কিত তথ্য এবার হাতের কাছে চলে আসবে। এই পয়েন্ট আবিষ্কার করেছিলেন গণিতজ্ঞ জোসেফ লুই ল্যাগ্রেঞ্জ । এটা এমন একটা জায়গা যেখানে দুটি শক্তি এক্ষেত্রে সূর্য এবং পৃথিবীর মহাকর্ষীয় শক্তি একে অপরকে প্রতিহত করে। আর এই কারণেই জায়গাটিই আদিত্য এল ১-এর ল্যান্ডিং এবং স্থায়িত্বের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকেই নানা অ্যাঙ্গেলের ছবি তুলে আদিত্য পাঠাতে থাকবে ইসরোকে। চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধের মতো এই পয়েন্টে আগে কোনও দেশ যেতে পারেনি। ফলে ইসরোর অভিযান সফল হলে ফের দেশের মুকুটে আরও এক পালক জুড়তে চলেছে।

 

Previous articleমিলল না স্বস্তি! জেল হে.ফাজতেই রাজার হালে রয়েছেন কাপ্তান
Next articleমমতার পরামর্শেই হু হু করে বেড়েছিল বোরোলিনের বিক্রি! কী ছিল সেই টিপস