আচার্যের ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্ন! যাদবপুরে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে ফের কাঠগড়ায় রাজ্যপাল

ওমপ্রকাশ জানান, রাজ্যে বিপুল জনাদেশ পেয়ে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকলেও রাজ্যপাল নিজের ইচ্ছেমতো একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আর রাজভবনের এমন সিদ্ধান্তে অন্ধকার নেমে আসছে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ফের শিক্ষাক্ষেত্রে রাজভবন (Rajbhawan) এবং রাজ্যপাল (Governor) তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের (CV Anand Bose) অসাংবিধানিক ও অনৈতিক ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র (Omprakash Mishra)। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে (Press Club Kolkata) সাংবাদিক সম্মেলন করে এডুকেশনিস্ট ফোরাম (Educationist Forum)। আর সেখানেই অধ্যাপক মিশ্র যাদবপুর সহ রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সহ একাধিক খুঁটিনাটি বিষয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবেই হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন। আর রাজ্যপাল বা রাজভবনের এমন হস্তক্ষেপ শিক্ষাক্ষেত্রে অত্যন্ত খারাপ প্রভাব ফেলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ওমপ্রকাশ জানান, রাজ্যে বিপুল জনাদেশ পেয়ে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকলেও রাজ্যপাল নিজের ইচ্ছেমতো একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আর রাজভবনের এমন সিদ্ধান্তে অন্ধকার নেমে আসছে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর তার জেরেই বিঘ্নিত হচ্ছে পঠনপাঠন।

পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সদ্য দায়িত্ব পাওয়া বুদ্ধদেব সাউয়ের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলে এডুকেশনিস্ট ফোরাম। এদিন ওমপ্রকাশ অভিযোগ করেন, কীভাবে আচার্য একজন উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব হাতে তুলে দিতে পারেন? এটা আইনবিরুদ্ধ। সুপ্রিম কোর্ট, কলকাতা হাইকোর্টও এই বিষয়ে বারবার রাজ্যের নির্বাচিত সরকারের মতামত গ্রহণের বিষয়টিকে মান্যতা দিলেও তাতে একেবারেই কর্ণপাত করেনি রাজভবন। আর রাজ্যপাল কোনও নির্দেশ না মেনে একের পর এক বেনজির সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন। আর যা নিয়েই গণ্ডগোল সৃষ্টি হচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রে। ইতিমধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের বিজেপি যোগ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাজ্যপাল যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অঙ্গুলিহেলনেই এসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি এদিন কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ওমপ্রকাশের অভিযোগ, হাই কোর্ট বারবার জানিয়েছে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালিন উপাচার্য পদে কাউকে নিয়োগ করা হলে তাঁকে উপাচার্য হিসাবে নয় অধ্যাপক হিসাবেই গণ্য করতে হবে। এরপরই তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যে এমন ৭ বিশ্ববিদ্যালয় আছে জেখাঙ্কার উপাচার্য পদে যারা রয়েছেন তাঁরা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

এরপরই রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের আইন বহির্ভূত অতিস্ক্রিয়তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র সাফ জানান, আগামী দিনে আচার্যের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে এডুকেশনিস্ট ফোরাম? ওমপ্রকাশ বলেন, যাদবপুরে বর্তমানে কোনও উপাচার্য নেই। অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যও নেই। যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর থেকে আবার দায়িত্বটা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আচার্যের আওতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। উনি তো মনোনীত প্রতিনিধি দিচ্ছেন না। ডিন সিলেকশন হচ্ছে না। ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্টসে কোনও ডিন নিয়োগ করা হচ্ছে না। যাদবপুরে চরম অব্যবস্থা চলছে বলেও অভিযোগ করেন ওমপ্রকাশ।

 

 

 

 

Previous articleরানাঘাটে ডাকাতির নাটের গুরু কুন্দন সিং বর্ধমানের রাজু ঝা খু*নে যুক্ত!
Next articleবিরোধীদের কোনও সূচনা না দিয়েই ৫ দিনের সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকল কেন্দ্র