Tuesday, November 4, 2025

Chhattisgarh: খেলা চলাকালীন ফুটবল ফাটার জের! পড়ুয়াদের চ.রম শা.স্তি দিল আবাসিক স্কুল

Date:

খেলতে খেলতে আচমকাই ফেটে যায় ফুটবল। আর ফুটবল ফাটানোর শাস্তি যে এতটা ভয়ানক হতে পারে তা হয়তো কেউ দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারবেন না কেউ। কিন্তু তেমনই এক ঘটনা এবার সামনে এল। যা শুনে কার্যত মাথায় হাত দেশবাসীর। ছত্তিশগড়ের (Chhatisgarh) সুরজপুর জেলার এক আবাসিক স্কুলের ঘটনা। জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের খেলার সময় আচমকাই ফেটে যায় ফুটবলটি (Football)। আর তারই শাস্তিস্বরূপ পড়ুয়াদের টানা ২ দিন অনাহারে রাখা হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি সামনে আসতেই চরম হইচই পড়ে গিয়েছে। একটা ফুটবল ফেটে যাওয়ার শাস্তি যে এতটা ভয়াবহ হতে পারে তা হয়তো কেউই ভাবতে পারেননি। কিন্তু ছত্তিশগড়ের সেই আবাসিক স্কুলেই এমন ঘটনা ঘটায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার জেরে চরম নিন্দার মুখে পড়তে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল (Bhupesh Baghel) সরকারকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ছত্তিশগড়ে এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৪১। তবে তাদের থাকার জন্য কোনও পর্যাপ্ত জায়গা নেই। মাত্র দু’টি ঘরের মধ্যে গাদাগাদি করে থাকতে হয় তাদের। তবে পড়ুয়াদের অনাহারে রাখার বিষয়টি সামনে আসে যখন স্থানীয়রা পড়ুয়াদের বিস্কুট বিতরণ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েই স্থানীয়রা পড়ুয়াদের থেকে জানতে পারেন দু’দিন ধরে তাদের খেতে দেওয়া হচ্ছে না। এই কথা জানার পরই স্থানীয়রা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় পড়ুয়াদের অভিভাবকদেরও। তাঁরাও স্কুলে এসে স্থানীয়দের সঙ্গে বিক্ষোভ প্রদর্শনে সামিল হন। ছত্তিশগড়ের রাজধানী রাইপুর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে অম্বিকাপুরে রয়েছে এই আবাসিক স্কুলটি। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের সন্তানরা স্কুলের হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৮ অগাস্ট পড়ুয়ারা ফুটবল খেলছিল। খেলতে খেলতে আচমকাই ফুটবল ফেটে যায়। খবর স্কুলের সুপার পিটার স্যাডমের কাছে পৌঁছলে তিনি রাগে ফেটে পড়েন এবং পড়ুয়াদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর সেকারণেই পড়ুয়াদের না খাইয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন সুপার। এদিকে জেলা প্রশাসনে সূত্রে খবর, তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে সুপার স্বীকার করেন, পড়ুয়াদের দু’বেলা খাবার বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর যুক্তি, লড়াই কী বিষয় সেটি শেখার প্রয়োজন আছে শিশুদের। তাই এ কাজ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে সুপারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

Related articles

গ্রুপ সি ও ডি নিয়োগে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি

রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করল। কমিশনের প্রকাশিত...

তিন জেলায় চলবে নজরদারি! এসআইআর পরিদর্শনে আসছে কমিশনের বিশেষ দল

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) প্রক্রিয়া চলাকালীন রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পরিদর্শক দল। কমিশন সূত্রে জানা...

এসআইআর চলাকালীন এলাকায় থাকতে হবে মন্ত্রীদের, কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যজুড়ে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া (এসআইআর)। এই প্রক্রিয়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের...

বিশ্বকাপ জিতেই মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার, আয়ে পলাশকে কতটা টেক্কা দিলেন স্মৃতি?

বিশ্বকাপ জিতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা (Smriti Mandhana) । আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস...
Exit mobile version