উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই একের পর এক নির্দেশ জারি করা হয়েছে রাজ ভবনের তরফে।রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে এই কদিন কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আক্রমণ করলেন রাজ্যপালকে।তাঁর সাফ কথা, দায়িত্ব নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে দেউলিয়া করে দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন বাংলার নতুন রাজ্যপাল।তিনি বলেন, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ বিদূষক আমাদের রাজ্যপাল। তিনি নিয়মকানুনের ধার ধারেন না। আগের রাজ্যপালদের সঙ্গে ‘ডায়লগ’ হত। এখন শুধুই ‘মনোলগ’।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে জেমস বন্ডের সঙ্গে তুলনা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বললেন, ‘জগদীপ ধনকড় যখন রাজ্যপাল ছিলেন, তখন আলোচনার পরিসর ছিল। এই রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনার কোনও জায়গা নেই। উনি জেমস বন্ডের মতো আচরণ করছেন। বর্তমান রাজ্যপাল বন্ডের মতোই নিঃশব্দ প্রহেলিকার মতো কাজ করছেন।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন,বিভিন্ন উপাচার্যকে অপমান করছেন এই রাজ্যপাল, শুধু পেটোয়া উপাচার্যরা ছদ্মবেশে রাজভবনে ঢুকছেন।আগের রাজ্যপাল ধনকড় আলোচনার টেবিলে বসতেন। আইন নিয়ে তর্কাতর্কি হত। ফাইল চালাচালি হত। আমরা বার বার আলোচনার পক্ষে। সচিব রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছিলেন। ওঁর তালিবানি ফতোয়ার পরেও আমরা ফাইল পাঠিয়ে গেছি। কিন্তু আলোচনা হয়নি। বর্তমান রাজ্যপালের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে পারে শাসক দল তৃণমূল। বিষয়টি ভাবনাচিন্তার স্তরে রয়েছে বলে জানালেন ব্রাত্য বসু। তিনি বললেন, মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার পাঠাতে চেয়েছিলেন। উনি তার উপর সার্কুলার জারি করেছেন। রাজ্যের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে মানছেন না। তাঁকে অপমান করেছেন।’ ব্রাত্য জানান, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রস্তাবের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তার পরেই সিদ্ধান্ত হবে।আসলে রাজ্যপাল বোধহয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পড়ে দেখার সময় পাননি, বললেন ব্রাত্য। তাঁর কথায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মানতে বাধ্য রাজ্যপাল। কিন্তু উনি কোনও বিধি মানছেন না।