মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে রাজভবনে ধর্না দেবেন৷ সেই সূত্রে রাজ্যপাল বলেন, যে কোনও ধরনের প্রতিবাদকে স্বাগত৷এমনকী রাজ্যের শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধেও সরব হন রাজ্যপাল। অভিযোগের পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, রাজ্যপাল বোস আসলে সব এলোমেলো করে দিতে চাইছেন। তিনি জটিলতা তৈরি করছেন। যার প্রভাব পড়ছে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায়। যা আসলে বিজেপির অ্যাজেন্ডা।
রাজ্যপাল তাঁর ভিডিও বার্তায় বৃহস্পতিবার বলেছেন, আমি কাউকে পদত্যাগ করতে বলিনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই সমস্ত উপাচার্যদের পদত্যাগ করতে হয়। ওঁরা নিজেরাই ইস্তফা দেন। বাধ্য হয়েই আমাকে অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ করতে হয়। যদিও রাজ্যপালের এই বক্তব্যকে ‘সুপরিকল্পিত একটি চিত্রনাট্য’ বলে কটাক্ষ করেছেন কুণাল। তিনি বলেন, উনি ওই চিত্রনাট্য নিয়ে বিজেপির এজেন্টের কাজ করছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হয়েছে সবাই দেখেছে। তা নিয়ে তদন্তও হচ্ছে। কিন্তু রাজ্যপাল কোথা থেকে কাদের ধরে ধরে এনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মাথায় বসাচ্ছেন! যাঁরা শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত নন। কিন্তু ঘোষিত বিজেপি।
কুণালের স্পষ্ট বক্তব্য, রাজ্যপালের যদি কিছু বলার থাকে তবে তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে ডাকুন। তাঁর সঙ্গে বৈঠক করুন যেটা এক্তিয়ারে, সংবিধানে, নিয়ম রীতিতে আছে। তাঁর উচিত অবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ডেকে মুখোমুখি আলোচনা করা।