জেলে বসেই সোনার দোকানে ডাকা.তির মাস্টার প্ল্যান! গ্রেফ.তার কিংপিন

দিন দশেক আগে আচমকাই খবরের শিরোনাম হয়ে উঠে আসে নদিয়া এবং পুরুলিয়ার (Nadia and Purulia) দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে একই সংস্থার দুই আলাদা ব্রাঞ্চে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল প্রায় একই সময়ে। তখন থেকেই সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। তাহলে একই ডাকাত দলের সদস্যরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয় কি এই ডাকাতি সংঘটিত করেছিলেন? ঘটনার দশ দিনের মাথায় কিনারা করল পুলিশ। ২৯ অগাস্ট রানাঘাট থেকে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে পুরুলিয়ার ঘটনায় জারি ছিল তল্লাশি। ডাকাতরা বাইক নিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে যায় বলে খবর ছিল। এর থেকেই বিহার ঝাড়খণ্ড যোগ আরও স্পষ্ট হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার পুরুলিয়া জেলা লাগোয়া ঝাড়খন্ডের ধানবাদের পাথরডি থানার চাষনালা সুদামডি এলাকা থেকে করণজিৎ সিং সিধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ঘটনার অন্যতম কিংপিন বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।

পুলিশ সূত্রে খবর , একেবারে সিনেমার কায়দায় পুরো ডাকাতির ঘটনা ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিলেন অভিযুক্ত। সেই কারণে একই ধাঁচে দুই জেলার দুই ব্রাঞ্চে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন থেকেই বাংলা- ঝাড়খণ্ড সীমান্তে নাকা তল্লাশি-সহ একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে গিয়েছিল পুরুলিয়া জেলা পুলিশের (Purulia District Police) টিম। একের পর এক ইনপুট সংগ্রহ করে চলছিল তদন্ত। অবাক করার মতো তথ্য হল, সংশোধনাগারে বসেই এই অপরাধের ছক কষা হয়েছিল বলে অনুমান পুলিশের।এই ঘটনায় সহযোগী হিসাবে কাজ করা বিকাশ কুমারকে গত ৫ অগাস্ট দিল্লির নয়ডা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এবার দুজনকে মুখোমুখি বসে জেরা করা হবে। খুব তাড়াতাড়ি বাকিদেরও ধরা সম্ভব হবে বলে আত্মবিশ্বাসী পুলিশ।

Previous articleএকেবারে বিনামূল্য নয়! বিদেশীদের চিকিৎসায় নয়া গাইডলাইন প্রকাশ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের
Next article“রা.ক্ষস প্রহরের অপেক্ষায় রয়েছি”! রাজ্যপালের ‘মধ্যরাত’-এর হুঁ.শিয়ারিকে চ্যালেঞ্জ ব্রাত্যর