ঝালদা-রানিনগর নিয়ে অধীরকে তোপ দাগলেন ফিরহাদ হাকিম

সম্প্রতি চার কংগ্রেস কাউন্সিলর-সহ মোট ৫ জন চলে আসে তৃণমূলে। এরপরই রাজ্যের একমাত্র পুরসভা, যেখানে কংগ্রেস ছিল ক্ষমতায়, তাও হাতছাড়া হয়ে যায়।

ইন্ডিয়া জোটের দৌলতে দিল্লিতে তৃণমূল এবং কংগ্রেস যখন কাছাকাছি, তখন তার বিপরীত ছবি দেখা গেল বঙ্গে। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা এবং রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে এবার  মুখ খুললেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তোপ দাগলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে। পুরভোটের পর থেকেই ঝালদা পুরসভায় টানাপোড়েন। বোর্ড গড়েছিল কংগ্রেস। সম্প্রতি চার কংগ্রেস কাউন্সিলর-সহ মোট ৫ জন চলে আসে তৃণমূলে। এরপরই রাজ্যের একমাত্র পুরসভা, যেখানে কংগ্রেস ছিল ক্ষমতায়, তাও হাতছাড়া হয়ে যায়।

এই বিষয়ে অধীর বলেছিলেন, লুঠ, জবরদখলের সংস্কৃতির শিকার ঝালদা।যদিও ফিরহাদ হাকিমের দাবি, একটা ছোট্ট পুরসভা। সেখানে কে কার সঙ্গে ঝগড়া করছে, কে কখন চলে আসছে এভাবে বলা মুশকিল। তৃণমূলে ছিল, কংগ্রেসে গেল, আবার ফিরে এল। এসব নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল। মুর্শিদাবাদের রানিনগরে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করেও কংগ্রেস তৃণমূলের দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। কংগ্রেস বোর্ড গঠনে বাধা দানের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়। স্থায়ী সমিতির সভায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

মঙ্গলবার ফিরহাদ বলেন, অধীরবাবুর এলাকায় এমনিই অধীরবাবু নেই। একটা বিধায়ক নেই। কেন্দ্রীয়বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হয়েছিল। নিজের এলাকাতেই সর্বহারা অধীরবাবু। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষ বিশ্বাস করছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। বিজেপিকে বাংলায় আটকাতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বাংলায় অস্তিত্বহীন দলের অস্তিত্ব রাখার পক্ষে মানুষের সায় নেই।