নিয়োগ মামলায় অপ্রত্যাশিত রিপোর্ট আদালতে জমা করতে পারল না কারণ, মঙ্গলবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসই বসেনি। তাঁর এজলাসে চলা মামলাগুলি অবশ্য এক দিনের জন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও মামলাটি শুনানির জন্য ওঠেনি। তবে বুধবার এই মামলাটি আবার উঠতে পারে শুনানির জন্য।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার সমান দুর্নীতি তুলে ধরা হবে বলে সোমবার দাবি করলেও, হাইকোর্টে শেষ পর্যন্ত ‘ছোট আকারে’ রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা জানায় সিবিআই।
এজলাসে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেছিলেন, মানুষের প্রত্যাশা আছে। এই দুর্নীতি নিয়ে ছোট রিপোর্ট আকারে জমা দেব। আর এর উত্তরে বিচারপতি বলেন, মানুষ ভাবতে শুরু করেছে এই মামলায় কিছু হবে না। দেখুন কী করা যায়।
সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের তো কিছু একটা করতে হবে। সাধারণ মানুষ ভাবছে কী হচ্ছে ?
শেষমেশ কী হয় তা দেখার অপেক্ষা করছে সবাই।
এরপর সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কীভাবে জড়িত ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, কীভাবে দুর্নীতির জাল বিস্তার হয়েছিল, কীভাবে তৎকালীন মন্ত্রী এবং সেক্রেটারি জোর করে চাপে ফেলে কাজ করিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে কী যোগসূত্র, পার্থর অফিসে মানিকের যাতায়াত, এসব তথ্যই উঠে আসবে রিপোর্টে। শেষ অবধি সিবিআইয়ের রিপোর্টে কী উঠে আসবে? সেটাই দেখার।