হলদিয়ার সমবায় ব্যাঙ্কে (Haldia Co Operative Bank) দুঃসাহসিক ডাকাতির (Robbery) ঘটনা। ভরদুপুরে সমবায় ব্যাঙ্কে ঢুকে ব্যাঙ্ক কর্মীদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অশান্ত এলাকা। এদিকে এমন ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন হলদিয়া এবং সুতাহাটা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ডাকাতদলের খোঁজে তল্লাশি অভিযান (Search Operation) শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে জেলা থেকে বেরনোর সমস্ত রাস্তা সিল করে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে হলদিয়ার জাতীয় সড়ক সংলগ্ন চকলালপুর দেউলপোতা সমবায়ে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। দিনকয়েক আগেই একই ধাঁচে নদিয়ার রানাঘাট (Ranaghat) ও পুরুলিয়ার (Purulia) সোনার দোকানে একই ধাঁচে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তারপর বুধবারের এমন দুঃসাহসিক ঘটনায় উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।

সমবায় ব্যাঙ্কের কর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে গ্রাহক সেজে ৬জনের সশস্ত্র ডাকাতদল ব্যাঙ্কে ঢোকে। পরিস্থিতি বুঝে ওঠার আগেই ব্যাঙ্কের প্রহরীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁর আগ্নেয়াস্ত্র কে়ড়ে নেয়। এরপর ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সহ কর্মীদের সকলকে নিয়ে যাওয়া হয় বাথরুমে। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ম্যানেজারের কাছ থেকে ভল্টের চাবি নিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে সংশ্লিষ্ট সমবায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, সব মিলিয়ে মিনিট কুড়ির মধ্যে অপারেশন সেরে পালিয়ে যায় ডাকাতদল। এদিকে ব্যাঙ্কে তাণ্ডবলীলা চলানোর পর চলে যাওয়ার আগে দুষ্কৃতীরা সিসিটিভির ফুটেজও (CCTV Footage) ডিলিট করে দেয় বলে খবর। সবমিলিয়ে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা দুষ্কৃতীদল লুঠ করেছে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে হলদিয়ার পাশাপাশি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় সুতাহাটা থানার পুলিশও।

দিনকয়েক আগে একই সময়ে নদীয়ার রানাঘাট এবং পুরুলিয়ায় সোনার শো-রুমে হানা দেয় সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল। সোনার গহনা, হীরের দুল ও নগদ মিলিয়ে দুটি শোরুম থেকে প্রায় কয়েক কোটি টাকা লুঠের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। ওই ঘটনায় দুষ্কৃতীরা সিসিটিভির ফুটেজ স্টোর করে রাখার হার্ড ডিস্কও খুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এবার একেবারে সেই ধাঁচেই এদিন সমবায় ব্যঙ্কে তাণ্ডব চালাল দুষ্কৃতীদল। তবে আগের দুটি ঘটনার সঙ্গে হলদিয়ার যোগসূত্র রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
