কলকাতা লিগে গ্রুপ পর্বের শেষ ম‍্যাচে DHFC’র কাছে ১-০ হার বাগানের

মোহনবাগানকে রুখে দিল ডায়মন্ড হারবার এফসি। ম‍্যাচে এদিন শুরু থেকেই চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। যার ফলে ম‍্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে যায় বাস্তব রায়ের দল।

কলকাতা লিগে গ্রুপ পর্বের শেষ ম‍্যাচে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব ডায়মন্ড হারবার এফসির কাছে ১-০ গোলে হারল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। DHFC-র হয়ে একমাত্র গোল সুপ্রিয়।

মোহনবাগানকে রুখে দিল ডায়মন্ড হারবার এফসি। ম‍্যাচে এদিন শুরু থেকেই চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। যার ফলে ম‍্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে যায় বাস্তব রায়ের দল। ম‍্যাচের ৪২ সেকেন্ডেই গোল  করে ডায়মন্ড হারবার এফসি। বাগানের রক্ষণ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডায়মন্ড হারবারের সুপ্রিয় এগিয়ে দেন দলকে। বাঁদিক থেকে বল পেয়ে বাগান ডিফেন্ডারদের ডজ দিয়ে বক্সের একেবারে কোণ থেকে বাঁ-পায়ের শটে দুরন্ত একটি গোল করেন সুপ্রিয়। এরপর আক্রমণের ঝাঁপায় মোহনবাগান। ম‍্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় মোহনবাগান আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে চলেছে। তবে ডায়মন্ড হারবার রক্ষণের কাছে বাগানের আক্রমণ বারবার প্রতিহত হয়। এরপর ম‍্যাচের ১৯ মিনিটে সুযোগ চলে আসে  মোহনবাগানের সামনে। ডিএইচএফসির গোলরক্ষক সুস্নাত মালিক একটি দুর্দান্ত সেভ করেন। এরপর প্রতিপক্ষের উপর চাপ বাড়ায় মোহনবাগান। তারা সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড ঠিকঠাক ফিনিশ করতে পারছে না। যে কারণে তাদের গোলের মুখও খুলছে না। তবে এরই মধ‍্যে ম‍্যাচের ৩৬ মিনিটে DHFC ১০ জনে হয়ে যায়। অয়ন মণ্ডল দ্বিতীয় হলুদকার্ড দেখে। যার ফলে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। এরপর আক্রমণে গেলেও গোলের দরজা খুলতে পারেনি সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। যার ফলে প্রথমার্ধে ১-০ পিছিয়ে থাকে মোহনবাগান।

দ্বিতীয়ার্ধেও চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। কিয়ান নাসিরি বল ভাসালেও, সুহেল ভাট জায়গায় পৌঁছতে পারেননি। সুস্নাত বলটি ধরে ফেলে। সমতা ফেরানোর সুযোগ মিস করে মোহনবাগান। এরপর পাল্টা আক্রমণে ঝাঁপায় DHFC। ৫৭ মিনিটে কর্নার থেকে রাহুল পাসোয়ানের একটি দুর্দান্ত হেডার সেভ করেন মোহনবাগান গোলরক্ষক দেবনাথ। এরপর ৬১ মিনিটে আরও একটি দুরন্ত সেভ করেন, বাগান গোলরক্ষক দেবনাথ। DHFC স্ট্রাইকার তার সোয়াইপ নিতে যাচ্ছিল, কিন্তু দেবনাথ বলটি বাঁচিয়ে দেন। আর বল বাঁচানোর সময়ে দেবনাথকেও ফাউল করে বসেন সুপ্রিয়। ১০ জনে হয়েও একের পর এক আক্রমণ করে কিবু ভিকুনার দল। তবে পাল্টা আক্রমণ চালায় সবুজ-মেরুন। ৭৬ মিনিটে সহজ সুযোগ মিস করে সবুজ-মেরুন। ফাঁকা গোল পেয়েও মিস করে  মোহনবাগান। DHFC ডিফেন্ডারের ভুলের পরে এবং গোলরক্ষক পড়ে যাওয়ায় বড় সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। গোলটি ফাঁক হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু সুহেল ভাট একটি সহজ ট্যাপ ইন করতে ব্যর্থ হন। কিয়ান নাসিরি পরে কিপারের গায়ে মারেন। এরপর আক্রমণে গেলেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এক পা সুপার সিক্সেই বাড়িয়ে রেখেছে মোহনবাগান।তবে রবিবার DHFC-র বিরুদ্ধে জয়ের লক্ষ‍্যেই মাঠে নামে বাস্তব রায়ের দল। তবে গোলের মুখ খুলতে পারল না তারা।

আরও পড়ুন:ডায়মন্ড লিগে রুপো জয় নীরজের