‘মাসিক’ নিয়ে ছুৎমার্গ এখনও যে গেল না। চাঁদে মহিলা মহাকাশচারী যাচ্ছেন, কিন্তু দেশের এই গ্রামে এখনও মাসের ৫ দিনে মহিলাদের রক্তপাত নিয়ে মধ্যযুগীয় ধারণা বিদ্যমান। ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এখনও একাধিক জায়গায় এখনও মেয়েদের পিরিয়ড (Menstruation)বা মাসিক শুরু হলে গ্রামের বাইরে বের করে দেওয়া হয় ৷ আসলে সমস্ত ঋতুমতী মহিলাদেরই থাকতে হয় একটি ভাঙা বাড়িতে ৷ ভাবতেও পারবেন না যে ঘরটি এতটাই ছোট সেখানে বড়জোড় দু’জন মানুষ দাঁড়াতে পারেন। এমনকি কোনও মহিলার যদি কোনও মাসে মাসিক না হয় তাহলে শুরু হয়ে যায় গুঞ্জন। তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) একাধিক গ্রামে এখনও পিরিয়ডস হওয়া মহিলাদের গ্রামের মধ্যে থাকতে দেওয়া হয় না ৷

সম্প্রতি কর্নাটকে তিন মহিলা রজস্বলা হওয়ায় তাঁদের জোর করে গ্রামের বাইরে আটকে রাখা হয়েছিল ৷ জানা যায় তাঁরা সকলেই ঋতুমতী। কর্নাটকের তামাকুরু জেলার (Tamakuru District)এই ঘটনায় তিন মহিলাকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রশাসন ৷ এরপরই জানা যায় যে ওই গ্রামে ঋতুমতী মহিলাদের স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারেরও কোনও ব্যবস্থাই নেই ৷ বিভিন্ন পাতার থেকে তৈরি, মূলত মহুয়া পাতার তৈরি জিনিসকে প্যাডের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করেন ৷ এতটাই অস্বাস্থ্যকর অবস্থা যে মহিলাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। যে ঘরটি পিরিয়ডস হওয়া মহিলাদের জন্য বরাদ্দ তা বড়জোড় ৮ ফুট x ৮ ফুট হয়৷ জানালাবিহীন মাটির ঘর যেখানে বিদ্যুৎ নেই। বিভিন্ন নিচু প্রান্তিক জাতের মানুষদের মধ্যে এই ধরণের সামজিক কুসংস্কার রয়েছে। ঋতুমতী মহিলারা একটি শাড়ি বেঁধে বা কলার পাতার আশ্রয় তৈরি করি একটি জায়গা তৈরি করেন সেটিকেই টয়লেট এবং স্নানের জন্য ব্যবহার করা হয়। বৃষ্টি হলে কুঁড়েঘরটি জলে ভরে যায়। যদিও তাতে কিছু যায় আসে না গ্রামের অন্যান্যদের।
