
২০০৭

এই দিনে ক্রিকেট বিশ্ব পেয়েছিল টি-২০-র প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। বিশ্বকাপ টি-২০-র ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে থেমেছিল ভারত। ভারতীয় বোলারদের সামনে লড়াই চালিয়েছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানেরা। কিন্তু লক্ষ্যের একটু আগেই থামতে হয় তাঁদের। মাত্র পাঁচ রান বাকি থাকতে অল আউট হয়ে গেল পাকিস্তান। প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ লেখা থাকল ভারতেরই নামে।



১৮৬১ ভিকাজি রুস্তম কামা
(১৮৬১-১৯৩৬) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। তাঁকে ভারতীয় বিপ্লববাদের জননী বলা হয়। ১৮৯৬ সালে বোম্বাই এলাকা দুর্ভিক্ষ ও প্লেগ-আক্রান্ত হলে কামা মেডিক্যাল কলেজের সেবামূলক কাজে যোগ দেন ও নিজেও প্লেগে আক্রান্ত হন। স্বাস্থ্যোদ্ধারের জন্যে লন্ডন যান তিনি। সেখানেই বিপ্লবী শ্যামজীকৃষ্ণ বর্মা ও দাদাভাই নৌরোজির সঙ্গে পরিচয়। পরে হোমরুল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। প্যারিসে তিনি প্যারিস ইন্ডিয়া সোসাইটি তৈরি করেন ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দের ২২ অগাস্ট তিনি জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সমাজবাদী সম্মেলন করেন। সেই সম্মেলনে ভারতের তিনরঙা পতাকার নিচে দাঁড়িয়ে ভারতে ব্রিটিশ শাসন ও শোষণের তীব্র সমালোচনা করেন। বিপ্লবী কার্যকলাপের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। সোভিয়েত রাশিয়া থেকে রুশ বিপ্লবের নেতা লেনিন তাঁকে আমন্ত্রণ জানান তাঁর দেশে আশ্রয় নেওয়ার জন্যে। কামা অবশ্য সেখানে যাননি।


১৯৪০ আরতি সাহা


(১৯৪০-১৯৯৪) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমকারী প্রথম এশীয় মহিলা এবং ভারতের প্রথম পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত সাঁতারু। ১৯৫৯-এর ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি ইংলিশ চ্যানেল পার হন। ফ্রান্সের ক্যালে থেকে ইংল্যান্ডের ডোভার পৌঁছতে সময় নেন ১৬ ঘণ্টা ২০ মিনিট।


১৯০৭ সুধীররঞ্জন খাস্তগীর

(১৯০৭-১৯৭৪) এদিন চট্টগ্রামে জন্ম নেন। শান্তিনিকেতনে চিত্রাঙ্কন ও ভাস্কর্য শিক্ষা। ব্রোঞ্জ, প্লাস্টার ও কংক্রিটে অধিকাংশ ভাস্কর্য রচনা। ভারতের অনেক মিউজিয়াম ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর চিত্র ও ভাস্কর্য সংগৃহীত আছে। আত্মজীবনীর নাম ‘মাইসেলফ’। ১৯৫৮-তে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হন।

১৮৬৯ ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(১৮৬৯-১৯৩৭) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। সংস্কৃতে ব্যুৎপত্তির জন্য ‘তত্ত্বনিধি’ উপাধি পান। ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। সেকালের কলকাতার চিত্তাকর্ষক বিবরণ-সংবলিত ‘কলিকাতার চলাফেরা’ তাঁর অন্যতম উল্লেখযোগ্য রচনা।

১৯২৫ গোকুলচন্দ্র নাগ

(১৮৯৪-১৯২৫) এদিন প্রয়াত হন। ‘কল্লোল’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সহকারী সম্পাদক। তাঁর একমাত্র উপন্যাস ‘পথিক’ আধুনিক উপন্যাসের পথিকৃৎ। যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে দার্জিলিংয়ে মারা যান।


১৯৫৮ মহুয়া রায়চৌধুরি
(১৯৫৮-১৯৮৬) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম জীবনে নৃত্যশিল্পী ছিলেন৷ ১৯৭৩ সালে তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ ছায়াছবিতে প্রথম অভিনয় করেন৷ তার পর থেকেই বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম নায়িকা। ১৯৮৬ সালে ২২ জুলাই সন্তানের জন্য খাবার গরম করতে গিয়ে অগ্নিদুর্ঘটনায় প্রাণ হারান৷

১৮৬০ দুদুমিঞা
(১৮১৯-১৮৬০) এদিন প্রয়াত হন। তরুণ বয়সে মক্কা যান। দেশে ফিরে পিতা শরিয়তুল্লা প্রবর্তিত ফরাজি ধর্মমত প্রচারে মন দেন। ফরিদপুরের ফরাজি বিদ্রোহের তিনিই ছিলেন প্রধান নায়ক। ওয়াহবি আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। জনসাধারণের ওপর থেকে করবিলোপ করে শোষক শ্রেণির কাছ থেকে কর আদায় করতেন। জীবনব্যাপী সংগ্রাম ও দীর্ঘ কারাবাস— এই দুয়ের কারণে শরীর ভেঙে পড়লে তিনি মারা যান।