নিয়োগকাণ্ডের তদন্তে অসম্পূর্ণ নথি পেশ করেছে অধিকাংশ পুরসভা (Municipality)। এমনই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (ED)। তদন্তকারীদের দাবি, রাজ্যের ২০টি পুরসভার কাছে তালিকা পাঠিয়ে নথি চাওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে মাত্র ৭টি পুরসভা সম্পূর্ণ নথি পাঠিয়েছে। বাকিরা নথি গোপন করছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। ইডি সাফ জানিয়েছে, অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ নথি না পাঠানো হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইডি সূত্রে দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে রাজ্যের ২০টি পুরসভার কাছে ২০১৪ সাল থেকে নিয়োগের বিস্তারিত তালিকাসহ প্রার্থীদের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে নথি জমা দিতে বলেছিলেন গোয়েন্দারা। প্রতিটি পুরসভার কাছে এই সংক্রান্ত নথিও পাঠানো হয়েছিল। এরপরই তালিকা দিয়ে পুরসভাগুলির কাছে নথি চেয়ে পাঠিয়েছিল ইডি। তালিকা মিলিয়ে মাত্র ৭টি পুরসভা নথি পাঠিয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। বাকি ১৩টি পুরসভার পাঠানো নথি অসম্পূর্ণ। ইডির অভিযোগ, যে পুরসভাগুলি তালিকা মিলিয়ে সম্পূর্ণ নথি পাঠিয়েছে তাতেও রয়েছে গরমিল। পুরসভাগুলির পাঠানো নথির সঙ্গে অয়ন শীলের সংস্থা থেকে উদ্ধার হওয়া নথির কোনও মিল নেই। এব্যাপারে বিস্তারে জানতে পুরসভাগুলির একাধিক কর্মীকে তলব করেছে ইডি। আগামী প্রায় ১ মাস ধরে বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে চলবে তাদের হাজিরা।

নিয়োগকাণ্ডের তদন্তে নেমে ধৃত অয়ন শীলের বাড়ি ও বিধাননগরের দফতরে তল্লাশি চালিয়ে পুরসভায় নিয়োগকাণ্ডে গরমিলের সন্ধান পায় সিবিআই। আদালতে ইডি সেকথা জানালে এই দুর্নীতির পৃথক তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘অতিস্ক্রিয়তা’ ঠিক কতখানি যুক্তিযুক্ত তা সময় বলবে। তবে নিয়োগকাণ্ডে এর আগেও একাধিকবার আদালতে চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।
