নির্মলচন্দ্রের শপথ ঘিরে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত, ফের আনন্দ বোসকে চিঠি শোভনদেবের

ধূপগুড়ি বিধানসভার নবনির্বাচিত বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের দ্রুত শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করার জন্য ফের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Shobhandev Chatterjee)। দীর্ঘদিন শপথ গ্রহণ আটকে থাকায় এলাকার মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে উল্লেখ করে পরিষদীয় মন্ত্রী প্রথা মেনে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Biman Banerjee) শপথ গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য রাজ্যপালকে চিঠিতে আবেদন জানান। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তিনি এই চিঠি বলে জানান শোভনদেব।

এদিন রাজভবনে রাজ্যপালকে চিঠি পাঠানোর আগে নবান্নে (Nabanna) স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷ স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরেই রাজ্যপালকে চিঠি পাঠান পরিষদীয় মন্ত্রী। সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকজন বিধায়কের শপথ গ্রহণ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বাধে। ভোটে জেতার প্রায় একমাস পর শপথ নেন সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস।

সদ্য ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। বিধানসভা নয়, ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান রাজভবনে করতে চান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি সরাসরি ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়কে ফোনও করেছিলেন। যদিও ধূপগুড়ির বিধায়ক রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দেননি। রাজ্যপাল চেয়েছিলেন, সকলকে এড়িয়ে নিজের মতো করে শনিবার রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করাতে। তাঁর সেই ইচ্ছে পূরণ হয়নি। রাজ্যপালের এমন ভূমিকা নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিধানসভার স্পিকার। বাংলায় অতীতে কোনও বিধায়ককে রাজভবনে শপথ নিতে দেখা গিয়েছে, এমন নজির নেই। রাজ্যপাল নিজের চেয়ারের অপব্যবহার করে স্বৈরাচারী মনোভাব দেখিয়ে সেই পরিষদীয় রীতিনীতিকেই লঙ্ঘন করতে চাইছেন। কোনও উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়কদের শপথের দায়িত্ব মূলত স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে দিয়ে থাকেন রাজ্যপাল। এ-ছাড়া বিধায়কের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান সাধারণত বিধানসভাতেই হয়ে থাকে। পরিষদীয় মন্ত্রী (Shobhandev Chatterjee) জানান, তাঁর কাছে নির্দেশ এসেছে। সোমবারই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে। সেই মতো চিঠি পাঠানো হবে।