সাত মাসের ব্যবধানে ফের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক (Executive Council meeting) হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University)।মঙ্গলবার দুপুর ২টো থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনে শুরু হয়েছে কর্মসমিতি (EC)-র বৈঠক, যা চলে একেবারে মধ্যরাত পর্যন্ত। উপস্থিত ছিলেন যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ (Buddhadeb Sau)।অ্যাজেন্ডায় না থাকা সত্ত্বেও যাদবপুরে এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে উঠল র্যাগিং প্রসঙ্গ! সূত্রের খবর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। র্যাগিং কাণ্ডে যাঁরা এখন পুলিসি হেফাজতে রয়েছেন, তাঁরা ক্নিনচিট না পাওয়া পর্যন্ত হস্টেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবেন না। এমনকী,অভ্যন্তরীণ তদন্তে রিপোর্টে চিহ্নিতরাও। হস্টেলে থাকতে পারবেন না বলে বৈঠকে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

শেষবার এই বৈঠক হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে। এই বৈঠকের আগেই ছাত্রদের দাবিতে একটি স্টেকহোল্ডারদের বৈঠকও হয়েছে। উপাচার্য সেখানে না থাকায় পৌরোহিত্য করেন সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত।যতদিন অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডের রিপোর্ট জমা পড়ছে ততদিন পর্যন্ত ইসি মিটিংয়ের এই সংক্রান্ত নির্দেশ কার্যকরী থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর গতকালের ইসি বৈঠকে মৌখিকভাবে র্যাগিং ও ইউজিসির প্রসঙ্গ তোলেন স্বয়ং উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। সেখানে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। রিপোর্টে যা যা সুপারিশ করা হয়েছে সেই সবকিছুই কার্যকর করার পক্ষের মত দেন এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্যদের একাংশ। অপর একটি অংশ আবার তদন্ত কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রবল বাকবিতন্ডার মধ্যে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বৈঠক।
