“আলাদা ঘরের প্রয়োজন নেই”: বিজেপির রাজ্য দফতরে পৌঁছে ‘অভিমানী’ দিলীপ!

দলে ধীরে ধীরে কমেছে দায়িত্ব! সেকারণেই সংস্কারের নামে বিজেপির সদর দফতর থেকে সরতে হয়েছে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ও রাহুল সিনহাকে (Rahil Sinha)। আর সেই ঘর ভাঙাকে কেন্দ্র করেই গেরুয়া শিবিরের (BJP) অন্দরেই বাড়ছে ক্ষোভ—বিতর্ক। বঙ্গ বিজেপিকে দখল করে নব‌্য ও তৎকাল নেতারা যেভাবে পার্টির পুরনোদের কোণঠাসা করার চেষ্টা শুরু করেছেন, তা নিয়ে সরব দলের বড় অংশই। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, দলের উপর মহলের সঙ্গে কিছুটা হলেও দূরত্ব বাড়ছে সাংসদ তথা দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা, কর্মীদের সঙ্গে মতপার্থক্য তৈরি হচ্ছে দিলীপের। তবে তিনিও যে একেবারেই দমে যাওয়ার পাত্র নন, তা বৃহস্পতিবার স্পষ্ট করে দিলেন দিলীপ। এদিন দুপুরে তিনি সোজা হাজির হন মুরলীধর সেন লেনের রাজ‌্য দফতরে।

তবে সেখানে গিয়েও নিজের ঘরের চৌকাঠ না পেরিয়ে পাশেই থাকা অমিতাভ চক্রবর্তীর ঘরে বসেন দিলীপ। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকও সারেন তিনি। আর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাঁর সাফাই, বিজেপির পরিবার বড় হচ্ছে। সেকারণেই দলের পার্টি অফিস সংষ্কারের কাজ চলছে। এমনকি তাঁর ঘরেও সংষ্কার হচ্ছে। তবে এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে দিলীপ জানান, আমি রাস্তায় থাকা চা খাওয়া মানুষ। আর সেকারণেই আমার জন্য আলাদা কোনও ঘরের প্রয়োজন হয় না। আর এমন মন্তব্যে ‘ঘর বিতর্ক’ নিজেই উসকে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তবে এ কথা তিনি কার উদ্দেশে এমন মন্তব্য করলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন- খড়্গপুরে সোনার দোকানে ডা.কাতির চেষ্টা-গু.লি, ড্রোন উড়িয়ে ডা.কাত ধরল পুলিশ

তবে সময় যত গড়িয়েছে দলে শুভেন্দু, সুকান্তদের সঙ্গে মতানৈক্য বেড়েছে দিলীপের। কমেছে মুরলীধর সেন লেনের সঙ্গে ‘আত্মিক যোগাযোগ’ও। তবে তিনি যে এত সহজে কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়বেন না, একথা ফের প্রমাণ করলেন দিলীপ। আর সেকারণেই দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে পার্টি অফিসে তাঁর ঘর ভাঙা একাধিক বিষয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁকে। তবে দলীয় কার্যালয়ে নিজের ঘর না পেলেও দিলীপ যে রাস্তায় থেকেই লড়াই করবেন, তা এদিন স্পষ্ট করলেন বিজেপি সাংসদ।

 

Previous articleখড়্গপুরে সোনার দোকানে ডা.কাতির চেষ্টা-গু.লি, ড্রোন উড়িয়ে ডা.কাত ধরল পুলিশ
Next articleমহামেডানকে শুভেচ্ছা ক্রীড়ামন্ত্রীর, ফুটবলারদের আর্থিক পুরস্কার ক্লাবের পক্ষ থেকে