শাহর পুলিশের চূড়ান্ত অস.ভ্যতা! তৃণমূলের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে হা.মলা, আ.টক অভিষেক-সহ নেতৃত্ব

মোদি-শাহ পুলিশের চূড়ান্ত অসভ্যতা! দিল্লির কৃষিভবনে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীদের উপর বর্বরোচিত আক্রমণ। সময় দিয়েও দেখা করেননি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। সেখানেই দেখা করার দাবিতে অনড় হয়ে বসেছিলেন অভিষেকরা। শান্তিপূর্ণ অবস্থানে হামলা চালায় বিজেপির পুলিশ বাহিনী। রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে বাসে তোলা হয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। মহিলারাও বাদ যাননি। মহিলা সাংসদদের চ্যাংদোলা করে বাসে তোলে বিজেপির পুলিশ। অভিষেক-সহ নেতৃত্বকে আটক করা হয়েছে বলে ঘোষণা করে দিল্লি পুলিশ।

তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নেতাদের আটক করে মুখার্জি নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আটক করার প্রতিবাদে কলকাতা এবং হুগলির রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন তৃণমূল কর্মীরা।

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে যন্তরমন্তরের সভা থেকে বাংলার বঞ্চিত মানুষের চিঠি কাঁধে নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধেয় যন্তর মন্তর থেকে হেঁটে দিল্লির কৃষি ভবনে পৌঁছন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)-সহ ৪০জনের প্রতিনিধি দল। সেখানে অপেক্ষা করতে থাকেন তাঁরা। ভিতরে বসেই স্যোশাল মিডিয়ায় লাইভে এসেন অভিষেক বলেন, “আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির আমাদের সময় দিয়েছিলেন বেলা ১২টায়। সেই মতো সভার সময় ঠিক হয়। কিন্তু সোমবার মন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হল, মন্ত্রী দিল্লিতে নেই। ৫টায় আসবেন, ৬টা দেখা করবেন। সেই সময় সময় পরিবর্তন করা হয়। আর এখন সংবাদ মাধ্যমে দেখাচ্ছে ৪টে থেকে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন। আমার ৬টা থেকে এসে বসে আছি। কিন্তু এখনও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেখা করেননি। যতক্ষণ না তিনি আসবেন আমরা নড়ব না।“

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সাংসদ শান্তনু সেন বেরিয়ে জানান, ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট বসিয়ে রেখে সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি বলে পাঠান যে তিনি সব প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করবেন না। কিন্তু যে ৪০জনকে নিয়ে তাঁরা এসেছেন, তাঁদের নিয়েই দেখা করতে অনড় অভিষেক। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যতক্ষণ না দেখা না হয়, তাঁরা বসে থাকবেন। রাত ৯ টা নাগাদ এখানে পৌঁছে যায় অমিত শাহর পুলিশ। শান্তিপূর্ণ অবস্থান থেকে আটক করা হয় অভিষেক-সহ তৃণমূলের নেতৃত্বকে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে পুলিশ তুলতে এলে বাধা দেন সাংসদ দোলা সেন, মহুয়া মৈত্র, রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদারা। কিন্তু তৃণমূল নেত্রীদের রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে সরানো হয়। এরপর অভিষেক-সহ সব সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়কদের বাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মুখার্জি নগর থানায়। তৃণমূল নেতৃত্বের উপর দিল্লি পুলিশের এই বর্বরোচিত আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি বিরোধীদলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন- টানা বৃষ্টি ও ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলে বি.পর্যস্ত বাংলা! বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যের একাধিক জেলায়