টানা বৃষ্টির জেরে বাড়ছে নদীর জলস্তর! জল ছাড়ছে ডিভিসিও, বঙ্গে বন্যার আশ.ঙ্কা

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এখন ঝাড়খণ্ড ছত্তীসগড় এলাকায় অবস্থান করছে। ছত্তীসগড় থেকে মধ্য মহারাষ্ট্র পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। এর জেরে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে। ফলে পুজোর মুখে চলছে শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজ্যে। যার জেরে ফুঁসছে একাধিক নদী। বানভাসি পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ নিম্নচাপের জেরে পিছু ছাড়ছে না বর্ষা!বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি
তুমুল বৃষ্টির জেরে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছাড়ায় ধাপে ধাপে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল দুর্গাপুর ব্যারেজ। মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর থেকে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫৭৫ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। গতকাল থেকেই জল ছাড়তে শুরু করেছে DVC। সেই জল পশ্চিম বর্ধমানে পৌঁছনোর পর, দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া শুরু করেছে সেচ দফতর। এর জেরে দামোদরের নিম্ন অববাহিকায় পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া ও হুগলি জেলার একাংশ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অন্যদিকে,নিম্নচাপের জেরে একনাগাড়ে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাঁকুড়াও। ফুলেফেঁপে উঠেছে দ্বারকেশ্বর নদীর জল। ফলে একাধিক সেতু জলের তলায় ডুবে যাওয়ায় যান চলাচলে সমস্যা দেখা চিয়েছে। সেতু দিয়ে পারাপার বন্ধ হয়ে হয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সোনাতপল, বালিয়াড়া, সুরপানগর, মালাতোড় সহ বহু গ্রাম। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ৮টি গ্রামের বাসিন্দারা। বাঁকুড়া শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গন্ধেশ্বরী নদীর জল বইছে মানকানালি সেতুর ওপর দিয়ে।আর কিছুদিন এমন বৃষ্টি চললে এই সেতুটিও ডুবে যাওয়ার আশবঙ্কা রয়েছে।
একদিকে সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা, অন্যদিকে সাগরে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। এই দুই ফলায় আগামী কয়েকদিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী ৪৮ ঘন্টায় ভারী বৃষ্টি হবে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং নদিয়া জেলায়। মঙ্গলবার পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে।