প্রথমে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী, তার পর কেন্দ্রের প্রতিনিধি রাজ্যপাল। বাংলার বঞ্চিত মানুষের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে ‘পালালেন’ সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। দিল্লিতে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপর হেনস্থার প্রতিবাদে ‘রাজভবন চলো’র ডাক দেওয়া হয়। সেই খবরের পরেই কেরালা চলে গিয়েছেন রাজ্যপাল। যদিও রাজভবনের তরফে মুখ বাঁচাতে বলা হয়েছে, এটা পূর্বসূচি অনুযায়ী।

বাংলার বকেয়া আদায়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)-সহ দলের সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়করা। তাঁদের আটক করে টেনেহিঁচড়ে কৃষিভবন থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা পরে তাঁরা মুক্ত হন। বেরিয়ে পুলিশ লাইনের সামনেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay) ঘোষণা করেন, বুধবার কলকাতায় ফিরে বৃহস্পতিবার রাজভবন অভিযান করবেন তাঁরা। অভিষেকের কথায়, রাজ্যপাল কেন্দ্রের প্রতিনিধি। দিল্লিতে তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়কদের হেনস্থা এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ‘মিথ্যাচারের’ ঘটনায় রাজ্যপালকে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলার দাবি জানাবেন তাঁরা। একই সঙ্গে যে ৫০ লক্ষ চিঠি তাঁরা কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতরাজ ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে দেবেন বলে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাও রাজ্যপাল দেওয়া হবে বলে জানান অভিষেক।

মঙ্গলবার, অভিষেকদের বসিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, আমাদের তিন ঘণ্টা বসিয়ে রেখে তিনি পিছনে দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: বিহারের পর এবার জাতিগত জনগণনার ফল প্রকাশ্যে আনতে চায় ওড়িশা


মঙ্গলবার রাতে দিল্লি থেকে রাজভবন অভিযানের ডাক দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ১ লক্ষ ভুক্তভোগী ও ৫০লক্ষ চিঠি নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান অভিষেক। সেই খবর পেয়েই রাজভবন ছেড়ে নিজের রাজ্য কেরালায় উড়ে গিয়েছেন আনন্দ বোস।

শাসকদলের কটাক্ষ, এই বঞ্চিত মানুষদের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের মানুষের কথা শুনতেই না কি রাজভবনে পিস রুম খুলে ছিলেন রাজ্যপাল বোস। কিন্তু এখন বঞ্চিতদের মুখোমুখি হতে চাইছেন না তিনি! তবে, রাজ্যপাল রাজভবনে না থাকলেও, তৃণমূলের ঘোষিত কর্মসূচি নড়চড় হবে না। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু।

বৃহস্পতিবার কি ফিরবেন রাজ্যপাল? রাজভবন জানাচ্ছে, আনন্দ বোসের কলকাতা ফেরার বিষয়ে নিশ্চিত খবর নেই। সেক্ষেত্রে সমাবেশের পরে তৃণমূল নেতৃত্ব যদি রাজ্যপালের দফতরে স্মারকলিপি জমা দিতে চান, তার প্রস্তুতি রাখছে রাজভবন। প্রয়োজনে সেই স্মারকলিপির কপি কেরলে রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।
