শি.রদাঁড়া সোজা রেখে লড়াই করছে অভিষেক, আস্থার সুর শতাব্দী-মহুয়ার

শিরদাঁড়া সোজা রেখে লড়াই করছে দিল্লির বুকে, সেই অভিষেককে ভয় দেখিয়ে কী লাভ?

বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা বৃহস্পতিবার রাজভবন অভিযানের মিছিলে পা মেলালেন।মিছিল করে রাজভবনে পৌঁছান প্রায় লক্ষাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থক।এদিনের সভায় বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন,বাংলার গরিব বঞ্চিত মানুষের এই আন্দোলন আমাদের অহংকার। আমি তৃণমূল হয়ে নয়, আমি বাংলার মানুষ হয়ে একটি প্রশ্ন করছি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পায় না, ইডি-সিবিআই ডাকছে, বুক ফুলিয়ে যাচ্ছে আবার বুক ফুলিয়ে বেরিয়ে আসছে। শিরদাঁড়া সোজা রেখে লড়াই করছে দিল্লির বুকে, সেই অভিষেককে ভয় দেখিয়ে কী লাভ?

একের পর এক নির্বাচন প্রমাণ করেছে, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন। সেই রাগেই টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। মানুষকে কাজ করিয়ে যারা টাকা দেয় না, তাদের প্রতারক বলে। কেন্দ্রের মোদি সরকার মানুষকে ঠকাচ্ছে, প্রতারণা করছে। ওরা এমন কাজ যত করবে তত পিছিয়ে যাবে। লোকসভা ভোটে সেটা টের পাবে।

কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহূয়া মৈত্র বলেন, মাত্র ২৪ ঘণ্টার নোটিশে এই বিশাল মিছিল প্রমাণ করে কেন্দ্র বাংলার গরিব মানুষকে বঞ্চিত করেছে। আইন বলছে, যে মানুষ ১০০দিনের কাজ করেছে তাদের টাকা দিতে বাধ্য কেন্দ্রীয় সরকার। ২ বছর আগে কাজ করিয়ে টাকা বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপি সরকার। আইনে বলা আছে, কাজ করার ১৫দিনের মধ্যে টাকা না দিলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মোদি সরকার আইন সংবিধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গরিব মানুষের টাকা আটকে রাখছে। বিজেপি দলটার উঁচুতলা থেকে নিচুতলার নেতা, সকলেই মিথ্যাবাদী। কৃষিভবনে কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রীও মোদির থেকে মিথ্যা শিখেছে। দেখা করবে বলেও করেনি, পালিয়ে গেছে পিছনের রাস্তা দিয়ে।

আজকে আমরা রাজভবনে এসেছি। হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি আমরা এই রাজ্যপাল কী জিনিস। নাগপুর থেকে পরিচালিত হয়। উনি উত্তরবঙ্গে কী করতে গেছেন? ত্রাণ দেওয়া তো ওনার কাজ নয়! আমাদের লড়াই চলবে গরিব মানুষের জন্য। মিথ্যাবাদী, অসভ্যদের চব্বিশ সালে শূন্য করে দিন।

Previous article“সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে প্রমাণ কোথায়?” আবগারি মামলায় সুপ্রিমকোর্টে ভর্ৎসিত ইডি
Next article‘পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্দেহ রয়েছে আমার’, বিএফসির কাছে ম‍্যাচ হারের পর বললেন কুয়াদ্রাত