দফায় দফায় জল ছাড়ছে ডিভিসি, রাজ্যে বাড়ছে বন্যার আশ.ঙ্কা!

দক্ষিণবঙ্গে হুগলি ও হাওড়া জেলায় ২টি করে ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ১টি বিপ.র্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন করা হয়েছে।  

একদিকে নিম্নচাপের ইউ টার্ন ,অন্যদিকে জলধার থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হচ্ছে, সবমিলিয়ে রাজ্যের একাধিক জেলা প্লাবনের আশঙ্কায় ভুগছে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির দাপট কিছুটা কমলেও সকাল থেকে যেভাবে মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়া হয়েছে তাতে দুর্গাপুর, বাঁকুড়া ,পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

ডিভিসির (DVC) তরফে বলা হয়েছে যে মাইথন থেকে ৩০ হাজার এবং পাঞ্চেত থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে সকালে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৮৬ হাজার ৯৫০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে । তেনুঘাট এবং কোনার ড্যাম থেকেও জল ছাড়া হচ্ছে। যার ফলে মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধারে চাপ বাড়ছে।মেঘভাঙা বৃষ্টি ও একাধিক জলাধার থেকে ছাড়া জলে পুজোর মুখে রাজ্যের একাধিক জেলায় প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৯টি জেলায় মোট ২০৪টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। বিপদজনক এলাকা থেকে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে বলেই সরকারি সূত্রে খবর।উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ২টি NDRF দল মোতায়েন রাখা হয়েছে। দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি মহকুমা এলাকায় ১টি করে দল রাখা হয়েছে । দক্ষিণবঙ্গে হুগলি ও হাওড়া জেলায় ২টি করে ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ১টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন করা হয়েছে।

রাজ্যের ১৯১ টি ত্রাণ শিবিরে মোট ৯২১৫ জনকে রাখা হয়েছে। উত্তরবঙ্গে ৪জেলায় ২৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে যেখানে সব মিলিয়ে এখন রয়েছেন ৩ হাজার ৫৮৪ জন।দক্ষিণবঙ্গে প্লাবনের কবলে পড়া ৫টি জেলায় খোলা হয়েছে ১৬৬ টি ত্রাণ শিবির। মোট ৫ হাজার ৬৩১ জন সেখানে রয়েছে বলে খবর।