যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন! কলেজের অধ্যক্ষ-অধ্যাপিকাকে অপসার.ণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

তবে এদিন আদালত জানিয়েছে, যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে ফের দুজনকে কাজে পুনর্বহাল করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কলেজের অধ্যাপক এবং অধ্যক্ষদের যোগ্যতামান স্থির করে দেয়।

যোগ্যতা না থাকায় এবার কলকাতার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের (Yogesh Chandra Chaudhuri Law College) অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তবে শুধু তিনিই নন, পাশাপাশি অপসারিত করা হয়েছে আরও এক অধ্যাপিকা অচিনা কুণ্ডুকেও। শুক্রবার থেকে তাঁরা আর কলেজে ঢুকতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) অধ্যক্ষ কিংবা অধ্যাপক হওয়ার ক্ষেত্রে যে শিক্ষাগত যোগ্যতার মানদণ্ড দিয়েছে, তাতে পাশ করতে পারেননি সুনন্দা ভট্টাচার্য এবং অচিনা কুণ্ডু। আর সেকারণেই তাঁদের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

তবে এদিন আদালত জানিয়েছে, যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে ফের দুজনকে কাজে পুনর্বহাল করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কলেজের অধ্যাপক এবং অধ্যক্ষদের যোগ্যতামান স্থির করে দেয়। সেই অনুযায়ী, নিয়ম মেনেই নিয়োগ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, অধ্যাপকদের। আর ইউজিসির ঠিক করে দেওয়া সেই যোগ্যতামান না থাকায় এ বার পদ হারালেন এক অধ্যক্ষ এবং এক অধ্যাপক। এই মামলাতেও যোগসূত্র রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের। নিয়োগ মামলায় বর্তমানে জেল হেফাজতেই রয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, উপযুক্ত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েকজন অধ্যাপক নিযুক্ত করেছেন তিনি। সেই মর্মেই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। মামলাকারীর অভিযোগ, ওই অধ্যাপক নিজেদের স্বার্থে কলেজে বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতীকে প্রশয় দিয়েছেন। সেই অভিযোগ শোনার পর আগামী ৯ অক্টোবরের মধ্যে দুষ্কৃতীদের হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলা ওঠে। সব পক্ষের কথা শোনার পর বৃহস্পতিবার আইনজীবী অর্ক কুমার নাগকে সেই মামলায় স্পেশাল অফিসার নিযুক্ত করেছে আদালত। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আজই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অধ্যক্ষর অফিসে তালা লাগাবেন স্পেশাল অফিসার। পাশাপাশি এদিন মৌখিক নির্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি দেখতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে বিনীত গোয়েলকে। এছাড়া, আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবারই যোগেশ চন্দ্র কলেজের পরিচালন সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই নির্বাচনের উপরেও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাই কোর্ট।

 

 

 

 

Previous articleযোগীরাজ্যে শাসকদলের ‘গু.ন্ডামি’: তোলা না পেয়ে রাস্তা খুঁড়.লেন বিধায়কের সঙ্গী
Next articleসত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পান,শিউলি-স্নেহাশিসের নি.শানায় রাজ্যপাল