দুদিন আগেই ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে দিল্লিতে অবস্থান কর্মসূচি করেছিল তৃণমূল।সেখানে পুলিশি হেনস্থার পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, বঞ্চিত মানুষের লক্ষাধিক চিঠি নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে তারা সাক্ষাত করবেন।সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তৃণমূলের রাজভবন অভিযানে কর্মী-সমর্থকদের ঢল। তবে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এই মুহুর্তে কলকাতায় নেই। তিনি রয়েছেন দিল্লিতে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সন্ধ্যায় ঘোষণা করেন, রাজ্যপাল যতক্ষণ না তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন ততক্ষণ ধরনা চলবে।এই পরিস্থিতিতে ধমনা মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, যে ভারত সরকারের অধীনে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর বাংলার ২০ লক্ষ গরিব খেটে খাওয়া মানুষের পাওনা টাকা আটকে দিচ্ছে। যাঁদের মধ্যে আড়াই হাজার মানুষ দিল্লি গিয়েছিলেন হকের টাকা আদায়ে। আর দিল্লির বিজেপি সরকার বলছে এঁরা নাকি ভুয়ো। এই গরিব মানুষের টাকা দিয়ে নতুন সংসদ ভবনের নামে ফাইভ স্টার হোটেল বানিয়েছে।

আবাস যোজনার টাকা দেয়নি। মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। তাদের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে আন্দোলন করেছে। আমাদের আন্দোলন চলবে। ভারতবর্ষে মহাত্মা গান্ধীর পরে সবচেয়ে বেশি কেউ যদি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেন তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গরিব মানুষের স্বার্থে আন্দোলন করছে।এই রাজ্যপালকে ধিক্কার জানাই। যিনি রাজপ্রাসাদে থেকে বাংলাকে বিপাকে ফেলতে ফন্দি করেন। এমন রাজ্যপাল আমরা চাই না, যিনি গরিব মানুষের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে।
