বাংলার বঞ্চিত গরিব মানুষের হকের টাকার দাবিতে দিল্লির (Delhi) পর এবার কলকাতার বুকে আছড়ে পড়ছে তৃণমূল ধর্ণা, আন্দোলন। ১০০দিনের কাজের বকেয়া পাওনা ও আবাস যোজনায় বঞ্চিতদের প্রাপ্য আদায়ে পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যপালকে। কারণ, রাজ্যপাল কেন্দ্রের প্রতিনিধি। বাংলার মানুষের প্রাপ্য আদায়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার বা দৃষ্টি আকর্ষণ রাজ্যপালের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। কিন্তু রাজ্যপাল তৃণমূল ও বঞ্চিত মানুষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা না করে কার্যত “পালিয়ে” বেড়াচ্ছেন। তাই রাজ্যপাল যতদিন পর্যন্ত না প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করবেন, ততদিন পর্যন্ত রাজভবনের অদূরে মঞ্চ করে শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও ধর্ণা চলবে। নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।

বৃহস্পতিবার ধর্ণার প্রথম দিন প্রাকৃতিক বিপর্যস্ত উপেক্ষা করে রাজভবনের নর্থ গেটের সামনে অস্থায়ী মঞ্চে সারারাত কাটিয়েছেন অভিষেক। আজ, শুক্রবার ধর্ণার দ্বিতীয় দিন। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ একে একে ফের ধরনা মঞ্চে হাজির হন তৃণমূলের নেতারা। আছেন ছাত্রযুবদের প্রতিনিধিরাও।

এদিন ধর্ণা মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যপালকে তোপ দাগেন। তিনি লেখেন, “জমিদারদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলছে, এই লড়াই আগের চেয়ে আরও তীব্র। আজ, দ্বিতীয় দিনে আমরা ঠিক যেখান থেকে ছেড়েছিলাম সেখান থেকেই শুরু করলাম। রাজ্যপাল আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করতে রাজি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই ধর্না চালিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমাদের মুখোমুখি হওয়ার এবং উত্তর দেওয়ার সময় এসেছে।”

অভিষেকের প্রশ্ন, “কেন, দীর্ঘ দু’বছর ধরে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের অধীনে ২০ লক্ষ গরিব শ্রমিকদের ন্যায্য টাকা আটকে রেখেছে? কোন আইনের কোন ধারায় এটা ঠিক?”
তিনি আরও লেখেব, “আমরা অধিকার আদায়ের লড়াই ছাড়ব না। আমরা ভাঙব না। আমাদের সংকল্প অটুট। গ্রাম বাংলার দরিদ্রদের জন্য ন্যায়বিচার আদায় করেই ছাড়ব। এবং আমরা বিজয়ী হবই!”
