সিকিম টাকা পেলেও বঞ্চিত বাংলা! বিপর্য.য় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযো.গ অনীতের

এদিন ফোনে কথা বলার সময় সিকিমকে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিলেও কালিম্পংকে কেন টাকা দেওয়া হবে না সেবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন জিটিএ প্রধান।

সিকিম (Sikkim) সহ উত্তরবঙ্গের (North Bengal) বিপর্যয় নিয়ে জিটিএ প্রধান অনীত থাপাকে (Anit Thapa) আশ্বস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ সকালে নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন জিটিএ (GTA) প্রধান। আর তখনই মুখ্যসচিবের ফোনে পাহাড়ের অবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন জিটি এ প্রধান। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাহাড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত তা নিয়ে সরকারের তরফে পর্যালোচনা হচ্ছে। তবে উত্তরবঙ্গের বেসামাল পরিস্থিতি নিয়ে বেজায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে পাহাড়ে বিশেষ দল পাঠানো হতে পারে বলে খবর।

তবে এদিন ফোনে কথা বলার সময় সিকিমকে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিলেও কালিম্পংকে কেন টাকা দেওয়া হবে না সেবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন জিটিএ প্রধান। তিনি বলেন, আমরা তো ভারতের মধ্যেই। আমাদের এখান থেকেও বিজেপির সংসদ রয়েছে। তবুও আমাদের কেন টাকা দেবে না কেন্দ্র? তবে বাংলাকে বঞ্চনার দাবিতে প্রথম থেকেই সরব তৃণমূল। দিল্লির পর এবার কলকাতায় রাজভবনের সামনে মঞ্চ তৈরি করে ধর্নায় বসেছেন বাংলার বঞ্চিত মানুষরা। তবে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে কেন এমন দ্বিচারিতা করা হচ্ছে তা নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনীত জানতে চান বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে তিস্তার ভয়াবহ গ্রাসে অন্তত ৩০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কালিম্পং জেলায়। প্রাথমিকভাবে এমনই রিপোর্ট উঠে এসেছে। বিডিওরা জেলার সব প্রান্ত পরিদর্শন করে এলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান পরিষ্কার হবে। এদিকে বাংলা-সিকিম সংযোগকারী ১০ নং জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গা ধসের কবলে। আপাতত বিপদসীমার নীচ দিয়েই বইছে নদী। এদিক পাহাড় জুড়ে জল কিছুটা কমতেই বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে ধ্বংসলীলার ছবি। কোথাও নদীতে অর্ধেক ডুবে গিয়েছে তিনতলা বাড়ি।

তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাতে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কমবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে শুধুমাত্র কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। বাকি জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। তবে শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গ জুড়েই হালকা মাঝারি বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে।