জানেন কি আজকের দিনে কী ঘটেছিল?

এডগার অ্যালান পো (১৮০৯-১৮৪৯) এদিন মারা যান। ১৮৪১ সালে তাঁর গোয়েন্দা কাহিনি ‘দ্য মার্ডারস ইন দ্য র‍্যু মর্গ’-এর পরে গোয়েন্দা কাহিনি পা-পা করে এগিয়েছে। তবে পো তাঁর লেখা কবিতা, ছোট-গল্প এবং বিশেষ করে মৃত্যুর সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত ছোট-গল্প ও রহস্য-গল্পগুলোর জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তিনিই প্রথম মার্কিন লেখক যিনি শুধুমাত্র লেখার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন, ফলে তিনি আর্থিক অসচ্ছলতার মধ্যে জীবন কাটিয়েছেন। ১৯৪৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের ১৯ তারিখে কোনও এক ভক্ত একটি কনিয়াক মদের বোতল ও তিনটি গোলাপ পোর সমাধিসৌধে রেখে যেতেন। এই অজ্ঞাতনামা ভক্তকে পো টোস্টার বলা হয়। পো-কে যেখানে সমাধিস্থ করা হয় সেই বাল্টিমোরের ওয়েস্টমিনস্টার গির্জার একজন ঐতিহাসিক স্যাম পোরপোরা ২০০৭ সালের অগাস্ট মাসের ১৫ তারিখে দাবি করেন যে তিনি ১৯৪৯ সাল থেকে এই শ্রদ্ধার্ঘ্য দিয়ে আসছেন যাতে গির্জাটির সম্মান বৃদ্ধি পায় এবং একই সঙ্গে অধিক তহবিল সংগ্রহ করা সম্ভবপর হয়। তাঁর এই দাবি সত্যি বলে প্রমাণিত হয়নি। পো টোস্টার শেষবার পোর সমাধিতে যান ২০০৯ সালের ১৯ জানুয়ারিতে। ওইদিন ছিল পো-র মৃত্যুর দ্বিশতবার্ষিকী।

২০০৮  সালের ৭ অক্টোবর সৌরভ ঘোষণা করেন যে, সেই মাসে শুরু হতে চলা টেস্ট সিরিজটিই হবে তাঁর জীবনের সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ। ২০০৮ সালের ২১ অক্টোবর সৌরভ তাঁর সর্বশেষ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচটি খেলেন। সর্বমোট ৩১১টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন এবং ১১,৩৬৩ রান সংগ্রহ করেছেন। পাশাপাশি তিনি ১১৩টি টেস্ট খেলেছেন ও ৭,২১২ রান সংগ্রহ করেছেন। ভারতকে তিনি ৪৯টি টেস্ট ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যার মধ্যে ভারত জিতেছিল ২১টি ম্যাচে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতকে ১৪৬টি একদিনের আন্তজার্তিক ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যার মধ্যে ভারত জিতেছিল ৭৬টি ম্যাচে। এ ছাড়া তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি এবং টেস্টে ৩২টি উইকেট দখল করেন। পাশপাশি তিনি একদিনের আন্তর্জাতিকে ১০০টি ও টেস্টে ৭১টি ক্যাচ নিয়েছেন।

১৯১৪ বেগম আখতার (১৯১৪-১৯৭৪) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। উত্তরপ্রদেশে ফৈজাবাজে বেগমের জন্ম। গানের কেরিয়ারে আখতারি বাঈ ফৈজাবাদী নামেও পরিচিত ছিলেন বেগম। শুধু গজলসম্রাজ্ঞী নয়, দাদরা, ঠুংরি— শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রায় সব ধারাতেই বেগমের স্বচ্ছন্দ যাতায়াত ছিল। শুধু গান নয়, বেশ কিছু ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। সত্যজিৎ রায়ের ‘জলসাঘর’-এ তাঁর অভিনয় চিরকাল মনে রাখবেন দর্শক।

১৯১২ অশোককুমার সরকার (১৯১২-১৯৮৩) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট সাংবাদিক। ১৯২২ সালে আনন্দবাজার পত্রিকার জন্ম। এই পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামী সুরেশচন্দ্র মজুমদার। অশোককুমার সরকারের বাবা প্রফুল্ল সরকার ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। ১৯৫৯ সাল থেকে এই পত্রিকার সম্পাদক হন অশোককুমার সরকার। আনন্দবাজার পত্রিকা ছাপার কাজে অশোককুমার সরকার প্রথম অফসেট প্রিন্টিং ব্যবস্থা চালু করেছিলেন।

১৭০৮ শিখধর্মের দশম গুরু গোবিন্দ সিং (১৬৬৬-১৭০৮) এদিন প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে তিনি শিখধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিবকে শিখদের পরবর্তী এবং চিরস্থায়ী গুরুরূপে ঘোষণা করেন। জামশেদ খান নামে এক আততায়ীর আক্রমণে মারাত্মকভাবে আহত হন গুরু গোবিন্দ সিং। এই আঘাতের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়।

 

১৭৭৫ জয়গোপাল তর্কালঙ্কার (১৭৭৫-১৮৪৬) এদিন নদিয়ার বজ্রপুরে জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্যিক ও শাব্দিক হিসেবে খ্যাতি ছিল। শ্রীরামপুর মিশনে উইলিয়াম কেরির অধীনে কাজ করার সময় মার্শম্যান সম্পাদিত সাপ্তাহিক ‘সমাচার দর্পণ’ পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দেন। এই পত্রিকার মাধ্যমে তিনি সংস্কৃতবহুল কঠিন বাংলা শব্দকে ব্যবহার উপযোগী ও সহজ করে তোলার কাজ শুরু করেন। সংস্কৃত কলেজে বিদ্যাসাগর তাঁর ছাত্র ছিলেন। ফারসি ভাষার একটি অভিধান সংকলন করেন। এ ছাড়া ‘শিক্ষাসার’, ‘পত্রের ধারা’, ‘বঙ্গাভিধান’ প্রভৃতি তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।